সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

মেলান্দহে সরিষার বাম্পার ফলন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০৯ বার পঠিত

মেলান্দহে সরিষার বাম্পার ফলন

বাকিরুল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরে মেলান্দহে রবি মৌসুমে এবার সরিষার ব্যাপক চাষ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে যেদিকেই দুচোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। প্রকৃতির এমন দৃশ্যে স্থানীয় সেলফি বাজরাও ছুটে আসছে কৃষকের সরিষার মাঠে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবহাওয়া ছিল অনুকূলে। এ কারণে উপজেলায় সরিষার ফলনও বেড়েছে। আর সরিষার বাম্পার ফলনে ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষক। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, আগামীতে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে। সরিষা চাষে আগ্রহী কৃষকদের দেওয়া হবে সব ধরনের সহযোগিতা।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই কমবেশি সরিষার চাষ হয়। তবে উপজেলার মাহমুদপুর, কাজাইকাটা ইউনিয়ন ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে সরিষার চাষ একটু বেশি হয়ে থাকে।

সূত্র আরো জানায়, স্থানীয় কৃষকরা সরিষাকে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাষাবাদ করে থাকেন। এ ফসল বিক্রি করে যে টাকা পায়, ওই টাকা দিয়ে আবার বোরো মৌসুমে ধান রোপণ করেন তারা। তাছাড়া সরিষা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। আর সরিষা চাষ করলে বোরো রোপণের সময় আলাদাভাবে ওই জমিতে আর সার দিতে হয় না। সরিষা বিক্রি করে টাকাও পাওয়া যায়, আবার তেলের চাহিদাও মেটাতে পারা যায়।

উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের মামাভাগিনা গ্রামের কৃষক রন্জু বলেন, তিনি এর আগে কখনো সরিষার চাষ করেননি। তবে এবার স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিন বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় আগামী বছরও সরিষার চাষ করতে চান ওই কৃষক।

নয়ানগর ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামের দুদু বলেন, আমি এ বছর তিন বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। এ বছরও ফলন ভালো হবে এবং দাম বেশি পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি।

কাজাইকাটা গ্রামের কৃষক বাবুল জানান, গত বছর তার ৫ বিঘা কৃষি জমি পতিত ছিল। কিন্তু এ বছর তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ওই জমিতে সরিষার বারি-১৪ জাত আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ‘দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ও স্থানীয়ভাবে তেলের চাহিদা মেটাতে সরকার তেল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য বাড়তি গুরুত্বারোপ করেছেন। চলতি মৌসুমে অত্র উপজেলায় ৫০০০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা সরকারিভাবে উন্নত জাতের সরিষা বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি, যে কারণে কৃষকরা আগ্রহ করে সরিষা চাষ করেছে। আমরা আশাবাদী, আগামীতে সরিষার চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। সেই সঙ্গে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং দেশ একসময় তেল ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..