বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

মেলান্দহে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৪ বার পঠিত

মেলান্দহে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।।

বাকিরুল ইসলাম (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরে মেলান্দহে এবার রোপা আমন ধান ফলনে বাম্পার হয়েছে। কৃষকের সোনালী রোপা আমন ধান দোল খাচ্ছে মাঠ জুড়ে। আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক। ধান পাকতে শুরু করায় কাটা ও মারাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও শ্রমিক।

বন্যা-খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকুলতা কাটিয়ে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার-করছেন কৃষক-কৃষানীরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার ফলনে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ২ টি পৌরসভায় মোট ১৭ হাজার ৬০ হেক্টর ভূমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৩০৫০ হেক্টর, রপসী জাতের ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫১০ হেক্টর ভূমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। মোট আবাদের ৫০% ধান কর্তন করা হয়েছে এবং ফলন সন্তোযজনক বলে, কৃষি অফিস সূত্রে যানা যায়।

এবার ভাল ফলন হওয়ায় দারুণ খুশি মেলান্দহ অঞ্চলের কৃষকরা। তাদের ভাষ্যমতে এবার আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। যদিও মৌসুমে পানির সমস্যা, খরা ও সারের দাম বেশী হওয়ায় ভুগতে হয়েছে কৃষকদের। এবার আমনে ভালো ফলন হয়েছে। আশানুরুপ ধানের দাম পেলে আরও বেশী খুশি হবেন কৃষকরা।

সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রোদের আলোয় ঝলমল করছে মাঠ জুরে কৃষকের সোনালী আমন ধান। বেশীর ভাগ ধান পাকতে শুরু করেছে। আবার কিছু ধান কাঁচা রয়েছে। আবার মাঠে ধান কাটাও শুরু করে দিয়েছে কৃষক। মাঠে মাঠে আমন ধান কাটার যেন আনন্দ উৎসব শুরু হয়ে গেছে কৃষকদের মাঝে। আগামী দুই/তিন সপ্তাহ ধরে টানা এভাবে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করবেন কৃষক পরিবার।

উপজেলার ৫নং নয়ানগর ইউনিয়নের কৃষক আবু বক্কর জানান, এবার জমিতে আমন ধানের ফসল অনেক ভালো হয়েছে। তবে জমি তৈরীতে অনেক পরিশ্রম করেছি, সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির সংকট ছিল। সারের দামও এবার একটু বেশী ছিল। তার পরও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ফলন ভালো হওয়ায় খুব আনন্দ লাগছে। ধান কেটে মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাবো। ধানের দামটা ভালো পেলে আরও খুশি হবো।

উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক শাজাহান আলী জানান, ক্ষেত লাগানোর সময় পানির সমস্যা পড়েছিল। আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় এবার সবারই আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান পাকতে শুরু করেছে। আমরা অনেকেই কাটতে শুরু করেছি। সব জিনিসের দাম বেশী হওয়ায় শ্রমিকের মজুরিও বেশী তাই। নিজেও ছেলেদের নিয়ে ধান কাটতে শুরু করেছি। না পারলে শ্রমিক নিবো। এবার এমন ফসলে সত্যিই আমরা খুশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন,ধান পাকতে শুরু করেছে, এখন মোট আবাদের ৫০% জমির ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরো বলেন- আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনেক কৃষক ধান কাটতেও শুরু করে দিয়েছে। সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর কৃষকরা তাদের ঘরে বাম্পার ফলন তুলবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..