মুন্সীগঞ্জে পিঠা উৎসবে উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে লৌহজং উপজেলার কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০জানুয়ারি) সকাল থেকে দিনভর বিদ্যালয়ের মাঠে ১৯টি স্টলে ফল ও পিঠার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠাপুলির উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
উৎসবে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদের স্টলগুলো সাজানো ছিল বাহারি সব জিনিস দিয়ে আর শিক্ষার্থীরা স্টলে প্রদর্শন করে বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা শতাধিক ধরনের পিঠা। অভিভাবকসহ আগত সব দর্শনার্থীর কাছে এসব ফলের গুণাগুণ ও পিঠার ইতিহাস বর্ণনা করে শিক্ষার্থীরা। পৌষের বিদায় আর মাঘের শুরুতে আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, ইলিশ পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ আরও কত নাম! সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে সাংস্কৃতিক পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উৎসব।
কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহানা আখতারের সভাপতিত্বে
উৎসব সফল করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কলমা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম রিয়াজুল ইসলাম তুহিন ,সাধারণ সম্পাদক বাদল পাঠান, কলমা লক্ষ্মীকান্ত হাইস্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক লিয়াকত হোসেন, মো.তোহা মিয়া আখন,পরিমল চন্দ্র ঢালী, জাহানজীব সারোয়ার, রেজুনা খাতুন, নাসরিন সুলতানা, মোহাম্মদ তোয়াহা, দিলীপ কুমার গোস্বামী। কলেজ শাখার প্রভাষক মো.শামসুল আলম,খুশিলাল রায়, মো.ফরহাদ মিয়া, জহিরুল ইসলাম, সুরাইয়া ইয়াসমিন, নুসরাত।
আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক জুরান রায়, মুহাম্মদ শাহীন মিঞা, অনিতা রানী ঘোষ, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আবুসালেহ, কিরণ চন্দ্র শিকারী, এনায়েত করিম, ফারিন আক্তার,আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
এই সময় কলমা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম রিয়াজুল ইসলাম তুহিন বলেন,
মুন্সীগঞ্জ -২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহা মহোদয় অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিলো,কিন্তু ওনি অন্য একটি জরুরি অনুষ্ঠানে গিয়েছে, ওনার পক্ষে থেকে আমি এসেছি , উনি সালাম ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
আর উনার পক্ষে থেকে সকল স্টলের জন্য ১হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আপনারা মিজানুর রহমান সিনহা মহোদয় জন্য দোয়া করবেন।
কে.এম রিয়াজুল ইসলাম তুহিন আরও বলেন, আমি ও বাদল পাঠান স্টলের শিক্ষার্থীর জন্য অর্থ প্রদান করেছি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহানা আখতার বলেন, পৌষ-পার্বণে পিঠা উৎসব হলেও শীতেও এ উৎসবের আমেজ শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার্থীদের পাঠাদানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।