মুখীকচু চাষে লাভবান নীলফামারীর চাষিরা।
সরকার সালাহউদ্দীন সুমন,রংপুর বিভাগ।
মুখীকচু চাষে লাভবান নীলফামারী কিশোরগঞ্জের চাষিরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে খরচ খুবই কম। আর রোগবালাই তেমন নেই বললেই চলে। এছাড়াও এর বাজারদর ভাল থাকায় কৃষকরা ভাল দামে বিক্রি করতে পারেন। তাই দিন দিন এই অঞ্চলে মুখীকচুর চাষ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, গত বছরের তুলনায় এবছর এই জেলায় ৫ হেক্টর বেশি জমিতে মুখীকচুর চাষ হয়েছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়নের মধ্যে মাগুড়া, মাস্টার পড়া,সবুজ পাড়া, বালা বাড়ি, দোলা পাড়া, সিংহের গাড়ী, এলাকাতে বেশি চাষ হয়েছে। আর চলতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১১৫ হেক্টর জমিতে মুখীকচু চাষ হয়েছে।
মাগুড়া উত্তর পাড়া গ্রামের, চাষি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি এবছর সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে মুখীকচুর চাষ করেছি। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়াও তেমন কোনো রোগবালাই হয়নি। আশা করছি বিঘাপ্রতি ৭০-৮০ মণ কচু উৎপাদন হবে। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ করতে পারবো।
মাগুড়া মাস্টার পাড়া গ্রামের গোলাম হোসেন বলেন, চলতি বছর আমি দেড় বিঘা জমিতে মুখীকচুর চাষ করেছি। ইতোমধ্যে আমি আগাম কচু তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। কচুর ভাল ফলন ও দাম পেয়ে আমি অনেক খুশি।
কচুর আড়ৎদার শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন স্থানীয় বাজারগুলোতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কচু তুলতে শুরু করেছেন। প্রথম প্রথম বাজারে উঠাতে এখন দাম একটু বেশি। আগামী সপ্তাহ খানেক পরে পুরোদমে পাইকারি বাজারে শত শত মণ কচু উঠতে শুরু করবে। বাজারে সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যাবে। তখন প্রতিদিন শত শত মণ কচু এখান থেকে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হবে।
গাড়া-গ্রাম ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, মুখীকচু একটি লাভজনক ফসল। এতে কচুর পাশাপাশি কচুর লতিও বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। আমরা কৃষকদের এর চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। এছাড়াও কৃষকদের চাষের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।