মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

মুক্তিযুদ্ধে এক কোটি শরনার্থীকে সেবা দেয়ার জন্য রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভুষিত করা উচিত -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৮৭ বার পঠিত

মুক্তিযুদ্ধে এক কোটি শরনার্থীকে সেবা দেয়ার জন্য রামকৃষ্ণ
আশ্রম ও মিশনকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভুষিত করা উচিত
-মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি
===============
নারায়ণ রায় নয়ন , দিনাজপুর।-
বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানবকল্যাণে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের নির্দেশনায় এক কোটি শরণার্থীর দেখভাল করবার দায়িত্ব সেদিন অর্পিত হয়েছিল রামকৃষ্ণ আশ্রমের ওপর। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধে এক কোটি শরনার্থীকে সেবা দেয়ার জন্য রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভুষিত করা উচিত।
দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের শতবর্ষপূর্তির তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকালে ‘নারী জাগরণ ও শ্রীশ্রী মা সারদাদেবী’ বিষয়ে ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তার সঠিক বাস্তবায়ন করে চলেছে তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ নির্বিঘ্নে যার যার ধর্ম পালন করছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে। তিনি বলেন, মানব সেবার জন্য সংগঠন কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেনা। বরং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। স্বামী বিবেকানন্দের ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’ বাণীতে ভাবিত হয়ে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ধর্মচর্চার পাশাপাশি সমাজসেবার ক্ষেত্রে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই প্রতিষ্ঠান শতবর্ষ ধরে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ধর্মের মধ্যে সৌহার্দের ভাব প্রচার করে আসছে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন।
চাঁদপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্থিরাত্মানন্দ মহারাজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার মনোজ কুমার, বাগেরহাট আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গুরুসেবানন্দ মহারাজ, হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন সেবাসমিতির অধ্যক্ষ বেদময়ানন্দজী মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দ মহারাজ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম ফতেয়াবাদ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সহ সম্পাদক স্বামী পূর্ণব্রতনন্দ মহারাজ।
এর আগে ভোর সাড়ে ৪ টায় মঙ্গল আরতির মধ্যদিয়ে তিন ব্যাপী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এর পর সকাল ৭ টায় বৈদিক শঅন্তি মন্ত্রোচ্চারণ, স্তোত্রপাঠ ও গীতাপাঠ এবং সকাল সাড়ে ৯ টায় ঢাকার শ্রী বিজন দাস সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরে দুপুরে গীতি আলেখ্য করেন ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের স্বামী সুমধুরানন্দ মহারাজ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী অধ্যাপক হারুন উর রশিদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..