মাছের পোনা বিতরনের অনিয়ম
সামসুজ্জামান সুমন:
নীরফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মৎস্য অফিসারের বিরুদ্ধে ২০২১/২০২২ইং অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের আওতায় নির্বাচিত জলাশয় সমূহে অবমুক্ত করনের জন্য জীবনন্ত মাছের পোনা বিতরণের অনিয়ম পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সামনে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে- সিলভার কাপ, বৃগেড ও কয়েকটি রুই, কাতলা, মৃগেল মাছের পোনা একাত্রিত করে ২১টি প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিতরণ করেন। এদিকে মাছের পোনার সাথে পানি মিশ্রন করে ওজন দেওয়া হচ্ছে। এতে যে পরিমান মাছের পোনা পাওয়ার কথা তার চেয়ে কম পাচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
সিডিউলে জীবন্ত মাছের পোনা রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস ও ঘনিয়া এসব মাছের পোনা দেওয়া কথা থাকলেও তা না দিয়ে সিলভার কাপ, বৃগেড ও কয়েকটি রুই, কাতলা, মৃগেল একাত্রিত করে ঐসব প্রতিষ্ঠানের মাঝে মাছের পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে জীবন্ত মাছের পোনা ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার আকারে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে ২০ সেন্টিমিটারের বড় আকারে জীবন্ত মাছের পোনা দেওয়া হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা গেছে ২১টি প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৪১৮ কেজি জীবন্ত মাছের পোনা দেওয়া হবে, যাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে এক লক্ষ দুই হাজার টাকা। কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, বড় বড় জীবন্ত মাছের পোনা দিয়েছে। ওজনেও কম পাইছি এবং বেশীর ভাগেই সিলভার কাপের পোনা ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার আবুল কাশেম বলেন- দুই একটা সিলভার কাপ ও বৃগেড মাছের পোনা থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য অফিসার আশরাফুজ্জামান এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে রাগানিত হয়ে বলেন এবিষয়ে কি উল্ট ভেল্টা কথা বলেন এবং প্রশ্ন করেন আপনি বিতরণের সময় ছিলেন।
আমি ষ্টিল ওখানে ছিলাম কোন সিলভার কাপের পোনা দেওয়া হয়নি। রাগানিতভাবে কথা বলেন এবং আমি সেখানে গিয়ে মাছের পোনা বিতরনের উদ্বোধন করে আসছি। সেখানে কোন সিলভার কাপের পোনা ছিলনা।