এসএম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মদনগঞ্জ এলাকার তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি টহল পিকআপকে বেপরোয়া গতির বোরাক বাস ধাক্কা দিলে তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এতে মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দিন, যিনি দুর্ঘটনার সময় গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে সেতু দেখছিলেন।
শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের দ্রুত বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন বন্দর থানায় কর্মরত জহির (২৯), রাজিব (২৭) ও সামসুজ্জোহা (২৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু পরিদর্শনের জন্য মদনগঞ্জ এলাকায় গিয়েছিলেন। পরিদর্শনের এক পর্যায়ে তিনি গাড়ির বাইরে নেমে সেতুর নির্মাণকাজ দেখছিলেন। এসময় তার বহনকারী পুলিশের পিকআপ ভ্যানটি সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে ছিল। ঠিক তখনই মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে মদনগঞ্জগামী একটি বেপরোয়া বোরাক বাস (ঢাকা মেট্টো-ঠ ১৪-৩৯০৩) হঠাৎ করে পুলিশের গাড়িটিকে পেছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
ধাক্কার তীব্রতায় পুলিশের পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় । গাড়ির ভেতরে থাকা তিন পুলিশ সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা এবং অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পর পরই বোরাক বাসের চালক আব্বাস আলীকে (৩২) স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ আটক করে। আব্বাস আলী বন্দর উপজেলার মুছাপুর এলাকার বাসিন্দা। একইসাথে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, বেপরোয়া বাস চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। বাসের চালককে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।