বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন

বেলকুচিতে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনে নিরাপত্তা বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৮ বার পঠিত

রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আনন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। সেই পূজায় শতভাগ নিরাপত্তা ও কঠোর নজরদারীর জন্য বেলকুচি থানা পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্ম উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা, বছর ঘুরে আবারও শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। মন্দিরে মন্দিরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতিপর্ব। বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন কমিটি বলছে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে পূজা। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে থেকে দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় থাকবে কঠোর নজরদারি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে, পাড়ায় পাড়ায় আনন্দ আয়োজন। বছর ঘুরে আবারও কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসবেন দেবী দুর্গা। তাই তো দেবী বন্দনার প্রস্তুতি মন্দিরে মন্দিরে।
দেশের বিভিন্ন এলাকার মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতিপর্ব। মণ্ডপে মণ্ডপে শিল্পীরা মনের মাধুরী দিয়ে তৈরি করছেন দুর্গা প্রতিমাকে, রাঙিয়ে তুলছেন রং-তুলির আঁচড়ে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বাংলাদেশে কিন্তু এই উৎসবগুলো আসলে সবার । ইদে আমরা ইদ পালন করি সবাই মিলে। আর শারদীয় উৎসবে আমাদের পাশাপাশি মুসলমান ভাই বোনেরা , বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই থাকে।’

সাম্প্রতিক সময়ের যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তাতে কোনভাবে পূজা উদ্‌যাপন ব্যাহত হবে না বলে আশাবাদ বেলকুচি উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির। তাদের প্রত্যাশা, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় প্রতিবছরের মতো এবারও শারদীয় উৎসবে শামিল হবে সবাই।

বেলকুচি উপজেলা হিন্দু বৈদ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি জয়শংকর শাহা বলেন, উপজেলার প্রতিটি পূজার আশেপাশে যাতে কোনো অন্ধকার অলিগলি না থাকে। বাংলাদেশ হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা চাই এদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান প্রত্যেকটা লোক তার শ্রম অধিকার পালন করুক।’

সাম্প্রতিক সময়ে সম্প্রীতি বিনষ্টকারী যেকোন অপশক্তিকে রুখে দিতে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান পূজা উদ্‌যাপন কমিটির। তাদের আশা, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা আয়োজনে সহায়তা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

এদিকে পূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানায় বেলকুচি থানা সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মোঃ হুমায়ুন কবির, থাকবে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা। সার্বিক নিরাপত্তায় থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের কর্ম কর্তা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার দুপুরে ১৬ই সেপ্টেম্বর বেলকুচি থানা চত্বরে
উক্ত নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম।
এসনয় আরও উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার অমৃত নারায়ণ দেব, বেলকুচি থানার এস আই সবুজ কুমার রায় সহ ৭৪টি পূজা মন্ডপের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..