সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গ্রেফতারকৃত ৩২৬ ধারায় অপরাধি আসামিদের মামলা থেকে খালাসের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসামী হাফিজুল ইসলাম এর নিকট থেকে ১ লক্ষ্য টাকা নিয়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ও বেলকুচি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিমের নামে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার, ৫ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বিভিন্ন প্রকার ফেসবুক পোস্ট, মেরে ফেলার হুমকি এবং মানহানি করার অভিযোগ উঠেছে বেলকুচির নারী পাচার কারী ওয়ারেন্টের পলাতক আসামি সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, ভূমি দস্যু মামলার আসামী সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক বাবু, ৭১ টিভির পরিচয় দেওয়া ভূয়া সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী, কতিথ সাংবাদিক সেরাজুল ইসলাম ও আল আমিন এর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত ২২শে জুলাই দুপুরে বেলকুচি উপজেলা রাজাপুর দক্ষিণপাড়া আব্দুলপুর গ্রামের মোঃ বদিউজ্জামান সেখের ছেলে হাফিজুল ইসলাম ও হামিদুল ইসলাম বাবুর সাথে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৩শে জুলাই দুপুরে বড় ভাই মোঃ হাফিজুল ইসলাম, স্ত্রী ছাবিনা খাতুন, ছেলে মোঃ হাসান ও মেয়ে মোছাঃ আঞ্জু খাতুন তারা চারজনে মিলে তার ছোট ভাই হামিদুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন কে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে,পরে এলাকাবাসির সহযোগিতায় তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আর সেই ঘটনায় মোঃ হামিদুল ইসলাম বাবু বাদি হয়ে বেলকুচি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার ১নং আসামি হাফিজুল ইসলাম কে ২৮ শে জুলাই রাতে গ্রেফতার করে বেলকুচি থানা পুলিশ। আর সেই গ্রেফতারের সংবাদ ২৯ ও ৩০ শে জুলাই বিভিন্ন পেপার পত্রিকা সহ বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার করে সাংবাদিক মোঃ রেজাউল, সাংবাদিক আব্দুল আলিম সহ অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা।
তার কিছুদিন পরে আবার হাফিজুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ হাসান আলী, ৩২৬ ধারার আসামি আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। আসামিরা জামিনে এসে রেজাউল সাংবাদিক কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি তাদের জামিন হতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে, তাদের গ্রেফতারের নিউজ করায় তাদের সম্মান নষ্ট হয়েছে এজন্য রেজাউল সাংবাদিকের নিকট ৫ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করে মামলার ১নং আসামি হাফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা, না দিলে মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায়। চাঁদা না দেওয়ায় হাফিজুল ইসলাম আওয়ামী দোসর নারী পাচার কারী মামলার পলাতক ওয়ারেন্টের আসামি জহুরুলের সাথে যোগাযোগ করে ১ লক্ষ্য টাকায় কন্ট্রাক করে রেজাউল সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় নিউজ করে মানহানি ও ফেসবুকে পোষ্ট করে একটি সিন্ডিকেট গ্রুপ চাঁদাবাজ নামধারী কথিত সাংবাদিক মহল। এই সিন্ডিকেট শুধু রেজাউল সাংবাদিক কে নয় তারা বিভিন্ন নেতাকর্মীদের টার্গেট করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অবাঞ্ছিত অপ্রয়োজনীয় নিউজ করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমনকি সেই চাঁদা বাজির দৃশ্য বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দৃশ্যমান রয়েছে যা উপযুক্ত সময়ে সমাজের চোখে উপস্থাপন দৃশ্যমান রয়েছে।
এবিষয়ে বেলকুচি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক রেজাউল করিম জানান, সাংবাদিকদের কাজ নিউজ করা, থানায় আসামি গ্রেফতার হয়েছে সেই নিউজ আমি সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা নিউজ করেছে এতে অন্যায় হয়েছে বলে আমি মনে করিনা। কিন্তু সেই নিউজ করার কারনে মামলা থেকে জামিনে এসে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেছে। এমনকি তাদের জামিন হতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে ও মান সম্মান নষ্ট হয়েছে এজন্য তাদের ক্ষতি পূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ্য টাকা দাবি করে হাফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। টাকা দিতে অস্বীকার করলে কুচক্রীমহল ওয়ারেন্টের আসামি সহ কিছু নামধারী সাংবাদিক টাকার বিনিময়ে কন্ট্রাক করে হাফিজুল ইসলাম কে কুপরামর্শ দিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে আমার মান সম্মান নষ্ট করেছে। তবে এদের পিছে বেলকুচির মুখোসধারী কিছু সুবিধাবাদি সাংবাদিকের হাত রয়েছে, সময়মত তাদের সিন্ডিকেটের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। এবিষয়ে বেলকুচি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি এমনকি সিরাজগঞ্জ কোর্টে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮/৯ জন অজ্ঞাত করে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।