বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের অন্যতম বরিশাল শের- ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড প্রথা।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত

বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের অন্যতম বরিশাল শের- ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড প্রথা।

মাওলানা মোঃ আব্দুল মোতালেব বরগুনা থেকে।

বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের অন্যতম বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড। সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে আগামী সপ্তাহেই চালু হতে যাচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড। চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালে যেন অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য দর্শনার্থী কার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর।

জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে মাত্র ৩৬০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে নির্মিত হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি। ৫৭ বছর পর হাসপাতালটির অবকাঠামোগত তেমন উন্নতি হয় নি। কিন্তু দিনে দিনে বেড়েছে রোগী। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন নতুন ভাবে ৭০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

ফলে হাসপাতালে অন্তঃ বিভাগে ভর্তি থাকেন প্রায় ৩ হাজার রোগী। প্রতি জন রোগীর সাথে ৪/৫ জন দর্শনার্থী কিংবা স্বজন অবস্থান নেন হাসপাতালে। দিনে দিনে হাসপাতালে রোগী ও রোগীর স্বজনদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেই তুলনায় হাসপাতালের অবকাঠামোগত কোন উন্নতি হয় নি। ফলে মানুষের অতিরিক্ত চাপে হাসপাতালের টয়লেট ও পরিবেশ নোংড়া হওয়াসহ সর্বক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।

এরই প্রেক্ষিতে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর (এসজিপি, এসইউপি, এমবিবিএস, এমফিল, এমপিএইচ, এমডিএম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে দর্শনার্থী কার্ড চালু করতে যাচ্ছেন।

হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড মাস্টার জুয়েল চন্দ্র শীল বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন ভবন অন্ধকার ও টয়লেট সমস্যা সমাধানের ব্যাপক কাজ করেছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর স্যার। তিনি অতি সম্প্রতি মেডিসিন ভবনে চিকিৎসক, সেবিকা ও রোগীদের জন্য একাধিক পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন জানালার ব্যবস্থা করে অন্ধকার দুর করতে সক্ষম হয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় এই ভবনে আরো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দর্শনার্থী কার্ড বা গেট পাশের ব্যবস্থা চালু করছেন পরিচালক স্যার। ইতোমধ্যে দর্শনার্থী কার্ড সম্পর্কে নিয়ম ও শর্তাবলি ব্যানার আকারে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থার নিয়মে বলা হয়েছে, ১/ দর্শনার্থী কার্ড ব্যতীত হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ, ২/ ১০০ টাকা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করুন।

কার্ড জমা দিয়ে ১০০ টাকা ফেরত নিন। ৩/ একজন রোগীর জন্য সর্বোচ্চ দুইটি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। ৪/ কার্ডের মেয়াদ ৭দিন। ৫/ মেয়াদ উত্তীর্ণ কার্ড ব্যবহার করলে ১০০টাকা জরিমানা আদায় করা হবে। হাসপাতালের সরকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন, দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হলে এই হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার দর্শনার্থীর চাপ কমে যাবে।

আগামী সপ্তাহেই প্রাথমিক ভাবে মেডিসিন ভবনে দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে পুরো অন্তঃ বিভাগে এই নিয়ম চলবে। তিনি আরো বলেন, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর স্যার’র নির্দেশে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে দর্শনার্থী কার্ড বিতরণ করা হবে। কম্পিউটারে কোন রোগী কবে থেকে কয়টি দর্শনার্থী কার্ড ভোগ করছেন সেই তথ্য লিপিবদ্ধ করা থাকবে।

এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর জানান, অতিরিক্ত দর্শনার্থী হাসপাতালে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালে যেন অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে।

তবে হাসপাতালের ভিজিটিং আওয়ারে (বিকেল ৩টা থেকে ৫টা) দর্শনার্থী কার্ড ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন স্বজনেরা। হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়নে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..