বীরগঞ্জে পরীক্ষার হলে ১৮জন ছাত্রকে পিটিছে, স্কুলে শিক্ষকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত কৃষি শিক্ষক চঞ্চল রায় বরখাস্ত।
মনিরুল ইসলাম মানিক বীরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি:
উপজেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক চঞ্চল কুমার রায় নবম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সোহেল রানা, রাকিব ইসলাম, সাকিব আলম, সাকিল ইসলাম, রাব্বি ইসলাম, আমির সিরাজী, মিত্রধর রায়, বিপস্নব রায়, আনন্দ রায়, সংকর রায়, দিপু রায়, আবির আহম্মদ, দুর্জয় রায়, সৌরভ রায়, প্রকাশ রায়, রিপন রায়, জামিল ইসলাম ও সোহান ইসলাম।
৬জুন বিকেলে নির্ধারিত ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে ক্লাস রুমে যায়। খাতা ও প্রশ্ন নিয়ে কৃষি শিক্ষক চঞ্চল কুমার রায় শিক্ষকের চেয়ারে চুইনগাম দিয়ে ময়লা দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পরীক্ষা নেয়া বাদ দিয়ে দরজা বন্ধ করে লাঠি দিয়ে সকলকে বেধরক মারপিট করে। আহত ছাত্রদের আত্ম-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বোর্ড বাজারের দোকান গুলোতে আড্ডারত অভিভাবক ও ব্যবসায়ীরা স্কুলে ছুটে যায়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক অবস্থার বেগতিক দেখে দরজা খুলে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে যায়।
আহত ছাত্র, অভিভাবক ও উত্তেজিত জনতা বিচারের দাবিতে বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। সংবাদ পেয়ে বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র রায়, পলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী মানিক, ইউপি সদস্যগন ও সাংবাদিক বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ে ছুটে গিয়ে আহত ছাত্র, অভিভাবক ও উত্তেজিত জনতাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করা হয়। এবং আটক শিক্ষক ও কমিটির লোকজনকে উদ্ধার করা হয়।
বিচারের আশ্বাস মোতাবেক ৭ জুন সকাল ১১টায় বিকে উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে উল্লেখিত বিষয়ে সমঝোতা বৈঠক হয়। সমঝোতা বৈঠকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কনদর্প নারায়ন রায়, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রছাত্রী অভিভাবকের উপসি’তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক চঞ্চল কুমার রায়কে সাময়িক বরখাস্ত সহ সোকোজ নোটিশ করে জবাব দাখিলের নিদের্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।