বীরগঞ্জে অবৈধ নিয়োগ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
মনিরুল ইসলাম মানিক, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অবৈধ নিয়োগ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের এলাকাবাসীর আয়োজনে আদালতের আদেশ অমান্য করে শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বন্ধের দাবিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্কুলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আবু বক্কর সিদ্দিক, আবুল হোসেন, রুবেল ইসলাম, হাসিনুর, আজাদ, ডা: বাবুল। বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী মহেন্দ্র রায়, তরিকুল ইসলাম, আক্তারুর, আনারুল, বদিউল আলম আজাহারুল ইসলাম, আ: লতিফ জুয়েল, আ: রাজ্জাক, রশিদুল ইসলাম সহ এলাকার শত শত পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখে আদালত নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া জন্য আদেশ দেন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের সদস্যগণ আদালতের আদেশ অমান্য করে ১০ সেপ্টেবর ২০২১ইং তারিখে বীরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকালে ও বিকালে
পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে গোপনে পরীক্ষা নেয় এবং অবৈধ ফলাফল প্রকাশ করেন। কিন্তু এলাকার জনগণ এই ফলাফল মানি না। কারণ অনেকে এডমিড পাওয়ার পরেও পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারে নি এবং তাদের মোবাইল ফোনে জানানো হয় যে, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। যাদের কে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাদের গোপনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে নিদৃষ্টি সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারা আরো বলেন, একক ক্ষমতার বলে স্কুলের সভাপতি তিনজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ অবলম্বে বাতিল করা না হলে পরবর্তীতে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করব। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, তিন পদে পরীক্ষা ও রেজাল্ট সম্পন্ন হয়। কিন্তু আমার উপরে আতংকিত হামলা হওয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমি আজকেই স্কুলে এসে খাতায় দেখতেছি তিনজনের সাক্ষর, মানে যোগদান করেছেন। আমি আশ্চর্য হয়ে স্যারদের ও পিয়নকে জিজ্ঞেস করলাম, তারাও সঠিক ভাবে বলতে পারল না। ওই তিন প্রার্থীকে ডাক দিয়ে বললাম, তোমরা যে সাক্ষর করছ, তোমাদের নিয়োগ পত্র কে দিল বা যোগদান পত্র কোথায়? পরে সভাপতি এসে বললো, আমি নিয়োগ দিয়েছি। একক ভাবে সভাপতি নিয়োগ দিতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার জানা মতে নিয়োগ পরীক্ষা ও রেজাল্ট হওয়ার পরে নিয়োগ কমিটি সুপারিশ ও ম্যানেজিং কমিটির দাড়া অনুমোদিত হয়। অনুমোদন করার পরে ম্যানেজিং কমিটি দায়িত্ব দিবে প্রধান শিক্ষক বা সভাপতিকে, যে তাদেরকে নিয়োগপত্র দেওয়া হোক। ওই নিয়োগপত্র পেলে স্কুলে যোগদান করবে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহসিন আলী জানান, আমরা শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে যে তিনটা নিয়োগ দিয়েছি তা বিধি মোতাবেক ও সরকারি নিয়ম মেনে নিয়েছি, এর মধ্যে কোনো ব্যক্ত ঘটে নি। উল্লেখ্য যে, আদালতে মামলা হওয়ার পর ৪ পদের মধ্যে ১১ সেপ্টেবর ২০২১ইং তারিখে সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে নিয়োগটি স্থগিত করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ।