স্টাফ রিপোর্টার জসীমউদ্দীন ইতি
বাসায় যারা বিড়াল পোষেন, তাদের এ রকম ঝামেলা প্রায়ই পোহাতে হয়। এমন
অবস্থায় হয়তো আদরের প্রাণীটিকে বিরক্ত হয়ে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায়
থাকে না। কিন্তু হাজারীবাগ বাজারের আক্তার হোসেন কিন্তু সেটি করেন না।
বরং তার দোকানে পণ্যের ওজন মাপার ডিজিটাল যন্ত্রের ওপর বসে থাকা
বিড়ালটিকে না সরিয়েই তিনি পণ্য ওজনের কাজটি করে থাকেন। ডিজিটাল যন্ত্রের
সাহায্য নিয়ে বিড়ালের ওজন শূন্য করে দেওয়ায়, সঠিক মাপেই দোকান থেকে পণ্য
ক্রয় করতে পারেন ক্রেতারা।
শখের বিড়াল : হাজারীবাগ বাজারে পাখি-কবুতরের খাবার ও পাখি পালনের সরঞ্জাম
বিক্রির দোকান রয়েছে আক্তার হোসেনের। দোকানের নাম আক্তার পোলট্রি ফিড। এই
ব্যবসার বাইরে আক্তার হোসেনের প্রধান শখ বিড়াল পোষা। তার দোকানে রয়েছে
দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ছয়টি পূর্ণবয়স্ক বিড়াল। আর রয়েছে অসংখ্য বিড়ালের
বাচ্চা। বাঘা, ডলি, ইনা, বীণা, টিনাসহ বিভিন্ন বাহারি নামে ডাকা হয়
এদেরকে।
ওজন মাপার যন্ত্রে বিড়াল : যাকে দিয়ে আক্তার হোসেনের শখের শুরু, সেই ডলির
প্রধান কাজ হচ্ছে পণ্য বিক্রির সময় ওজন মাপার যন্ত্রের ওপর শুয়ে থাকা।
তার শুয়ে থাকা এতটাই রাজসিক যেÑ কেউ চাইলেই তাকে তুলতে পারবে না। ফলে
ডলিসহই পণ্য ওজন করেন আক্তার হোসেন।
গ্রাহকরা এ নিয়ে কখনো কোনো অভিযোগ জানিয়েছে কি না জিজ্ঞেস করলে আক্তার
হোসেন বলেন, প্রায়ই যারা আমার দোকান থেকে পণ্য কেনেন, তারা এ ব্যাপারে
কোনো আপত্তি করেন না। তারা ব্যাপারটা দেখে অভ্যস্ত।
তবে অনেক গ্রাহক আছেন, যারা ওজনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আমি বলি,
বিড়ালের ওজন শূন্য। যন্ত্রের ওপর ডলি বসার পর, ওজন কমিয়ে শূন্য করে দিই।
তখন পণ্যের ঠিক ওজনই পাওয়া যায়।
কোনো কোনো গ্রাহক আবার প্রাণী হিসেবে বিড়ালকে অপছন্দ করেন, তাই তারা আমার
দোকান থেকে পণ্য নিতে চান না। তারা মনে করেন, বিড়াল আমার দোকান অপরিষ্কার
করে। তাদের কাছে আমি পণ্য বিক্রি করি না। শখের চেয়ে পণ্য বিক্রি বড় না।