সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

বিরামপুরে আলুর বাম্পার ফলন দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে খুশির ঝিলিক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৩৪ বার পঠিত

বিরামপুরে আলুর বাম্পার ফলন দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে খুশির ঝিলিক

দিনাজপুর থেকে আমাদের প্রতিনিধি এস এম মাসুদ রানার ডেস্ক রিপোর্ট

 

দিনাজপুরের বিরামপুরে আগাম আলু তোলার ধুম পড়েছে। আলুর ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন কৃষকরা।

 

তবে একসঙ্গে সবাই আলু তোলার ফলে কৃষি শ্রমিকদের জন্য বাড়তি মজুরি গুণতে হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় দিনাজপুর জেলা সহ জেলার অন্যান্য আলু চাষিরা খোশ মেজাজে রয়েছেন। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ১ হাজার দুইশত হেক্টর জমিতে এবছর আগাম জাতের আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

 

 

কিন্ত কৃষকরা আরও বেশি জমিতে আলু চাষ করেন। আলু লাগানোর পরপরই বৃষ্টিতে কৃষকের কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও আর বড় কোনো বিপদ আসেনি। এরপর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি আলু ৩০/৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

পৌরসভার মামুদপুর গ্রামের কৃষক শাহিনুর ইসলাম জানান, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। ২ বিঘায় কীটনাশক, আলু বীজ, সার, মজুরি বাবদ ৫০ হাজার টাকা বাদ দিয়েও আমার লাভ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

 

উপজেলার সর্বত্র নারী-পুরুষ শ্রমিকরা ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিককে দৈনিক ৪০০/৫০০ টাকা ও নারী শ্রমিককে ১৫০/২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। অনেক কৃষক ক্ষেতেই পাইকারি দরে আলু বিক্রি করছেন। এই আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে পাঠানো হচ্ছে।

 

মুন্সিপাড়া গ্রামের আদর্শ আলু ‘চাষি ছমীর উদ্দিন জানান, আগাম জাতের আলু চাষে অর্থনৈতিক’ চিত্র পাল্টে গেছে। কৃষকরা যেমন স্বনির্ভর হচ্ছেন, তেমনি শ্রমিকরা কৃষিকাজ পেয়ে ভালোভাবে দিন কাটাচ্ছেন। এই আলুর আবাদ না হলে এলাকায় অভাব দেখা দিত।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান, আগাম জাতের আলু আবাদে চাষিরা খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। অন্যান্য ফসলে উৎপাদন ও দামে মার খেলেও এই আলু আবাদে লাভবান হচ্ছেন অত্র উপজেলার মানুষ। প্রতিবছর এই আলু আবাদের পরিধিও বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..