মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট মসজিদে বিশেষ দোয়া।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট মসজিদে বিশেষ দোয়া

এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ

উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশুসহ অনেকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা কালেক্টরেট জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।

নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দোয়া অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে সোমবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছেন।

এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারী সহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।

আমি মহান আল্লাহ পাকের কাছে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সহ সকল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার অনুরোধ করছি।

দোয়া অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আলমগীর হোসাইন, এনডিসি তামশীদ ইরাম খানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মুসল্লি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মোনাজাত পরিচালনা করেন, জেলা কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সমির উদ্দিন।
মিলাদ পরিচালনা করেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মুফতি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন ও মুয়াজ্জিন হাফেজ সাইদুজ্জামান।

সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। মর্মান্তিক এ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ জনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..