বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল।
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটকের আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি তারবার্তা পাঠান। ইপিআরের ওয়ারলেস বার্তায় প্রচার করা হয় তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা। বঙ্গবন্ধু না থাকলেও তার বজ্রকন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিলো।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা রাও ফরমান আলীর মূল পরিকল্পনায় সেদিন বিশ হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যার তালিকা করা হয়েছিলো। কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেদের বিচক্ষণ সাহসিকতার কারনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তারা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারপরেও তার প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিলো।
তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোষররা বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকল মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করেছে। তারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে বিজয়ের মূহুর্তে এ হত্যাকা- পরিচালনা করে। বাঙালী জাতিকে মেধাশূণ্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, আজও স্বাধীনতা বিরোধীরা ঘাপটি মেরে থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে নানামূখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন পরিকল্পনা করে এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। তাদের ব্যাপারে সকলকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদিকা এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর যুব লীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
সভা পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবীর, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস,
শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, শেখ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. আনিছুর রহমান পপলু, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব হোসেন, মীর বরকত আলী, এম এ নাসিম, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, আলী আকবর মাতুব্বর, মো. মোক্তার হোসেন, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, তোতা মিয়া ব্যাপারী, চ. ম. মুজিবর রহমান, কবির পাঠান, মো. আলমগীর মল্লিক, মো. সাকিল হোসেন, মো. আশরাফুল আলম বাবু, মো. জিলহজ্জ হাওলাদার, মো. শহিদুল হাসান, মো. কামরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেসমিন সুলতানা শম্পা, নুরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, আইরিন চৌধুরী, নাসরিন সুলতানা, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, রুম্মান আহমেদ, এস এম সবুজ, সংকর কুন্ডু, ওমর কামাল, মো. চয়ন হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো. আব্দুর রহিম।
এর আগে দিনের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে গল্লামারী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। এসময়ে আওয়ামী লীগের সাথে এর সকল সহযোগী সংগঠন গল্লামারী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।