বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

বাগমারায় তুলির ছোঁয়ায় ফুটেছে প্রতিমার সৌন্দর্য

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৫০ বার পঠিত

 

বাগমারা (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ  করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দুগোর্ৎসব। সারা দেশের মতো রাজশাহীর বাগমারা   উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে দুর্গা পুজা আয়োজনের ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। একই সাথে চলছে মন্ডব সাজসজ্জার কাজ। করোনার কারনে এবার কাজের চাপ অনেকটাই কম বলে জানান প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা।
আগামী ১০ অক্টোবর পঞ্চমী পুজার মধ্যদিয়ে সারাদেশে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবল্বীদের প্রধান ও বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। সারাদেশের মতো বাগমারা  উপজেলায় স্বাস্থবিধি মেনে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভর্জের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হবে দুর্গা পুজা। এ লক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলায় এবার ৮৬ টি  মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গা পূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। রং ও তুলির ছোয়ায় প্রতিদিন একটু একটু করে প্রতিমার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীন ভাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে শিল্পীরা কাজ করছেন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি করা হয়ে গেছে প্রতিমার কাঠামো। শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোয়ায় পরিস্ফুটিত হচ্ছেন দেবী দুর্গা ও তার ছেলে-মেয়ে লক্ষী, স্বরস্বতী, গনেশ ও কার্তিক। প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন, অন্য বছর তারা বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে প্রতিমা তৈরী করলেও করোনার কারনে এবারের চিত্র ভিন্ন। তারা নিজ নিজ বাড়িতেই তৈরী করছেন প্রতিমা। পুজা শুরুর আগের দিন তৈরীকৃত প্রতিমা পৌছে দেয়া হবে মন্দিরগুলোতে। অন্য বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার চাহিদা ও দাম কম বলে জানালেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। লাভ-লোকসান যাই হোক বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই তারা আনন্দের সাথে প্রতিমা তৈরী করছেন। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশী মন্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জার কাজ। উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, প্রতিটি পুজা মন্দিরে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা হবে। দর্শনার্থীসহ সকলের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বাধ্যতা মুলক করা হয়েছে।
পুজা উদযাপন পরিষদের বাগমারা উপজেলার সভাপতি ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী বিজন কুমার বলেন,বাগমারা  উপজেলায় এবার ৮৬ টির মত  মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রসাশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করবেন। সেই সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইন্জিঃ মোঃএনামুল হক প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করবেন বলে তিনি জানান।
দুর্গা পুজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির বাংলাদেশে “ধর্ম যার যার- উৎসব সবার” এই স্লোগানে  প্রতি বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে শারদীয় দুগোর্ৎসব, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা রাজশাহী প্রতিনিধি
মোবাঃ০১৭১৬১৭১৬৬৮
তাং ০৮/১০/২০২১ইং
বাগমারা (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ  করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দুগোর্ৎসব। সারা দেশের মতো রাজশাহীর বাগমারা   উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে দুর্গা পুজা আয়োজনের ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। একই সাথে চলছে মন্ডব সাজসজ্জার কাজ। করোনার কারনে এবার কাজের চাপ অনেকটাই কম বলে জানান প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা।
আগামী ১০ অক্টোবর পঞ্চমী পুজার মধ্যদিয়ে সারাদেশে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবল্বীদের প্রধান ও বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। সারাদেশের মতো বাগমারা  উপজেলায় স্বাস্থবিধি মেনে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভর্জের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হবে দুর্গা পুজা। এ লক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলায় এবার ৮৬ টি  মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গা পূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। রং ও তুলির ছোয়ায় প্রতিদিন একটু একটু করে প্রতিমার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীন ভাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে শিল্পীরা কাজ করছেন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি করা হয়ে গেছে প্রতিমার কাঠামো। শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোয়ায় পরিস্ফুটিত হচ্ছেন দেবী দুর্গা ও তার ছেলে-মেয়ে লক্ষী, স্বরস্বতী, গনেশ ও কার্তিক। প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন, অন্য বছর তারা বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে প্রতিমা তৈরী করলেও করোনার কারনে এবারের চিত্র ভিন্ন। তারা নিজ নিজ বাড়িতেই তৈরী করছেন প্রতিমা। পুজা শুরুর আগের দিন তৈরীকৃত প্রতিমা পৌছে দেয়া হবে মন্দিরগুলোতে। অন্য বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার চাহিদা ও দাম কম বলে জানালেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। লাভ-লোকসান যাই হোক বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই তারা আনন্দের সাথে প্রতিমা তৈরী করছেন। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশী মন্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জার কাজ। উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, প্রতিটি পুজা মন্দিরে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা হবে। দর্শনার্থীসহ সকলের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বাধ্যতা মুলক করা হয়েছে।
পুজা উদযাপন পরিষদের বাগমারা উপজেলার সভাপতি ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী বিজন কুমার বলেন,বাগমারা  উপজেলায় এবার ৮৬ টির মত  মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রসাশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করবেন। সেই সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইন্জিঃ মোঃএনামুল হক প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করবেন বলে তিনি জানান।
দুর্গা পুজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির বাংলাদেশে “ধর্ম যার যার- উৎসব সবার” এই স্লোগানে  প্রতি বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে শারদীয় দুগোর্ৎসব, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা রাজশাহী প্রতিনিধি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..