সাইফুল ইসলাম স্টাফ রিপোটারঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নেের জোঁকা বিলে মৎস্য চাষকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙ্গচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ মামলায় ৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছেন বাগমারা থানা পুলিশ।
জোকা বিলের সাধারন সম্পাদক আয়নাল হক বাদী হয়ে ৩০শে জুন বুধবার-১৪৩,৩৪১,৪৪৭,৪৪৮,৩২৩,
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় ২৯শে জুন মঙ্গলবার মন্দিয়াল গ্রামের বুদাই গাইনের ছেলে জাবের আলী(৪৮),পানিয়া গ্রামের মৃত জলু’র ছেলে জোনাব আলী(৪৫),মৃত আঃ সামাদের ছেলে আহসান হাবিব(৫৫)এদের হুকুমে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ জোঁকাবিলের মৎস্য চাষের উপকরণ জাল, দড়ি, বানা কর্তন করা হয়। ,এতে করে জোকা বিলের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
বাগমারা থানার মামলা সূূত্রে জানা যায়, নরদাশ ইউনিয়নের
হাটমাধনগর গ্রামের আজিবার রহমান,বুরহান উদ্দিন, কাজল, সাইফুল ইসলাম,বাবু,আনিছার রহমান,পানিয়া গ্রামের মোঃ মনির উদ্দিন,কাষ্টনাংলা গ্রামের,এছাহাক,এজলাস,আঃরাজ্জা
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতংঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মৎস্যচাষ প্রকল্পের আতৎকের আরেক নাম জোক বিল মৎস্যচাষ প্রকল্প। অনেকেই জানেন জোঁকা বিলে মৎস্যচাষ নিয়ে বিগত ২০১৮ সালের ১৮ই এপ্রিল প্রকল্পের কোষাধ্যক্ষ আনিছুর রহমানকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলাটি এখনো আদালতে চলমান রয়েছে। কোষাধ্যক্ষ আনিছুর হত্যা মামলার আসামীরা আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলাপরিষদ সদস্য এবং নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মাস্টার আব্দুর রশিদ,তিনি অত্র বিলের চারপাশের জমির মালিক ও মৎস্যজীবীদের সমন্বয়ে সুষ্ঠ ভাবে গত তিন বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। তার নেতৃত্বে বিলটি সুষ্ঠুভাবে চাষ হলে অপর পক্ষের কিছু লোকের স্বার্থসিদ্ধ হচ্ছে না, তাই তারা সফল ও সার্থক বিলচাষী জেলা পরিষদের সদস্য রশিদ চেয়ারম্যানকে বিল থেকে তাড়ানোর জন্য প্রতি পক্ষরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
মামলা সুত্রে আরো জানা যায় যে জাবের,জোনাব ও আহসানের তারা
উদ্যেশ্য প্রণ্যাদিত এবং পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এধরনের হামলা পরিচালনা করেন।
হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় ৫ জন আসামীকে গ্রপ্তার করা হয়েছে,অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ বলেন ৫জন আসামীকে আটক করে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং সেখানকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।