বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের একাদশ জাতীয় সম্মেলন
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
রবিবার (১১ মে) ঢাকার সেগুনবাগিচায কচিকাঁচা ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের একাদশ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সৈয়দ সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা এর কার্যকরি সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাকিল আখতার চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন, ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক সার্ভিস এর ভাইস চেয়ারম্যান ভোলানাথ পোখারেল, কনফেডারেশন অব নেপাল প্রফেশনাল এর প্রেসিডেন্ট পুন্নয়া প্রসাদ ঢাকাল।
অনুষ্ঠানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণ সহ নবম বেতন কমিশন গঠনসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।
মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ৫ দফা কর্মচারীদের প্রাণের দাবী। অবিলম্বে এই দাবী পূরণ করা না হলে সারা দেশের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
দাবি সমূহ হচ্ছে: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণ সহ নবম বেতন কমিশন গঠন, সচিবালয়ের মতো পদবি পরিবর্তন, টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন পুনর্বহাল, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান এবং পেনশন গ্রাচুইটির হার ১ টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণ সহ ৫ দফা।
প্রধান অতিথি এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, দেশে এখন একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। আর সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কর্মচারীদের এই যৌক্তিক ৫ দফা দাবীর জন্য আন্দোলন করতে হবে না। এই যৌক্তিক দাবী ইনশাল্লাহ আমি বেঁচে থাকলে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরো বলেন, কর্মচারীদের ঐক্যের বিকল্প নেই। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে ঐক্য ছিলাম এখনও আমরা ঐক্য থেকেই সকল বৈষম্য প্রতিরোধ করবো। এমনকি এই দেশের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোন কালো আইন আমরা মেনে নিবো না। যদি আইন করতেই হয় তাহলে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে।