শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানে না বিএটি ও জেটিআই।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানে না বিএটি ও জেটিআই।

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানে না বিএটি ও জেটিআই

আগস্ট ১৭, ২০২৩

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানে না বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটি) ও জাপান টোব্যাকো কোম্পানি (জেটিআই)

আইন বহির্ভূত সব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি এ দুটি সিগারেট কোম্পানি। এমনকি তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা অনেক কর্মীদেরও হুমকি দিচ্ছে কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা।
‘দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন : সিগারেট কোম্পানি বেপরোয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ তুলেন তামাক বিরোধী জোটের ১১ সংগঠন। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’ ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী একেএম মাকসুদ। তামাক বিরোধী জোটের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক বজলুর রহমান, দ্যা ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ডাস টীম লিডার আমিনুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু, দেশের তামাক কোম্পানিগুলো আইন ভঙ্গ করে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তামাজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে ও বিক্রেতাদের উৎসাহিত করছে।

একেএম মাকসুদ বলেন, সম্প্রতি দেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশন, ১৬টি জেলা ও ৩২টি পৌরসভায় পরিচালিত জরিপে ২২,৭২৩ টি বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার লঙ্ঘন চিহ্নিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তামাকের বিজ্ঞাপন অপসারণ করেছে। আইন অনুসারে নিষিদ্ধ এ সকল বিজ্ঞাপন অপসারণকালে তামাক কোম্পানির প্রতিনিধি এবং তাদের লোকজন নানাভাবে হুমকি সম্মুখীন হয়েছে এবং তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের নানাভাবে ভয় দেখায়। আইন লঙ্ঘণের পাশাপাশি তারা নানানভাবে বিদ্যমান আইনটির সংশোধনী প্রক্রিয়ার বিরোধীতা করছে।

আবু নাসের খান বলেন, সিগেরেট কোম্পানিগুলো প্যাকেটগুলোতে তামাক বিরোধী যেসব চিত্র দেয়া সেগুলো অস্পষ্ট। বির্মুত শিল্পের মতো মনে হয়ে । বড় বড় রাষ্ট্রগুলো এই মাদক ও তামাক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘প্রমোট’ করে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে সংবাদ সম্মেলনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয় –

# দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী চূড়ান্ত করা
# তামাক কোম্পানীর প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষায় এফসিটিসি এর অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুসারে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ গ্রহণ
# ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ দ্রুত চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা
# টাস্কফোর্স কমিটিসমূহ সক্রিয় করা, কমিটির ত্রৈমাসিক সভা নিয়মিতকরণ, সভার সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা
# আইন লঙ্ঘণের দায়ে তামাক কোম্পানি/প্রতিনিধিকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জেল প্রদান
# আইন লংঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা
# তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং কার্যক্রমের সাথে বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা
# প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে একটি শক্তিশালি তামাক কর নীতি প্রণয়ন বাস্তবায়ন করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..