বাঁশখালীর এসি ল্যান্ডঃ একজন সৎ ও কর্মচঞ্চল উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তার উজ্বল দৃষ্টান্ত।
নজরুল ইসলাম সিকদার চট্টগ্রাম বুরো প্রধান
একজন সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাঁর সততা, কর্মচঞলতা, দায়িত্ববোধ, মানবিকতা ও মহানুভবতার মাধ্যমে নিজেকে অক্ষয়, অমর ও চিরস্মরনীয় করে রাখতে পারেন তাঁর কর্ম ব্যস্ততার প্রতিটি মুহুর্তকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে, নিজের পদ পদবীর অহংকার ভূলে নিজেকে প্রমান করতে পারেন একজন জনদরদী ও জনবান্ধব প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে। এমন একজন মহানুভব সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার নাম খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। যিনি বর্তমানে দায়িত্বরত আছেন বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সুকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে। ৩৬ তম বিসিএস-এর তরুন প্রশাসনিক এই আইকন উজ্বল দৃষ্ঠান্ত হতে পারে উন্নত আধুনিক স্বপ্নিল বাংলাদেশের। কর্মজিবনের শুরু থেকে দায়িত্ববোধে দুরদর্শিতা, প্রজ্ঞামুলক প্রতিটা পদক্ষেপে তিনি দেশের মাটি-মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন দিনের পর দিন। প্রতিদিনের খবরের কাগজের পাতায় ও গনমাধ্যমের বিভিন্ন শাখায় প্রচারবিমুখ প্রশাসনিক এ কর্মকর্তার দায়িত্বে সততা, সাহসিকতা ও সময়ানুবর্তিতার উজ্বল দৃষ্ঠান্তের খবর প্রকাশিত হচ্ছেই।
সাম্প্রতিক টিআইবি’র প্রতিবেদনে উদীয়মান বাংলাদেশের ক্যান্সার খ্যাত ভূমি সেবা খাতকে যেখানে ২য় পর্যায়ের দূর্নীতিগ্রস্থ সেবাখাত চিহ্নিত করা হয়েছে, এহেন প্রতিকূল ও কঠিন সময়েও ২০২২ সালে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) হিসাবে যোগদানের পর থেকে বাঁশখালী ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করে সেবা গ্রহিতাদেরকে হয়রানীমুক্ত সহজ শর্তে সেবা প্রদানের যে মিশন শুরু করেছিলেন তার স্পষ্ট সত্যতা মিলেছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রাগব বোয়াল চিহ্নিত দালালদের সাথে কথা বলেও। সাংঘাতিক দুর্দিন যাচ্ছে সেই ভূমি অফিসের দালালদের। যোগদানের পর থেকে বিগত ৩ মাসে প্রায় ২০ জনের অধিক দালালকে পাকড়াও করে মুচলেকা নিয়ে ভূমি অফিসাঙ্গনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে স্থায়ীভাবে, যার অধিকাংশই খবরের শিরোনাম হয়েছে অনেকসময়। এসি ল্যান্ড হিসাবে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এক্সুকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে প্রায় প্রতিদিন-রাত নিরলসভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম- দূর্নীতি প্রতিরোধে এবং সরকারী আদেশ বাস্তবায়নে চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের অলিতে গলিতে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর’২২ ইং বৃহস্পতিবার নতুন এক দৃষ্ঠান্ত তৈরী করলেন বাঁশখালী উপজেলার আলোচিত প্রশংসিত এই এসি ল্যান্ড খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। উপজেলার সরল ইউনিয়নের সত্তরোর্দ্ধ বয়স্ক বৃদ্ধের নাম দলিলুর রহমান, তিনি গত দুই সপ্তাহ আগে ভূমি অফিসে তার স্ত্রীর নামে নামজারি করতে আসলে সিদ্দিক নামের একজন দালাল তাকে নামজারির কথা বলে ৫,০০০ টাকা নিয়ে ঘুরাতে থাকে। এমতাবস্থায় হয়রানির স্বীকার ব্যক্তি এসিল্যান্ড অফিসে হয়রানির কথা জানালে সিদ্দিক কে হাতে নাতে ধরা হয় এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তির পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়, একই সাথে দালাল সিদ্দিকের কাঁছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ভূমি অফিসে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে অদ্য ০৮/০৯/২২ তারিখে ভুক্তভোগীকে সরকারি খরচে (১১৭০ টাকা) নামজারি সম্পন্ন করে তার কাঁছে খতিয়ানও সরবরাহ করা হয়। হয়রানি মুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিতকরণের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং ভূমি অফিসের কোন কর্মচারী /দালাল সেবা গ্রহিতা কাউকে হয়রানি করলে সরাসরি তাঁর কাছে হাজীর হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এসিল্যান্ড খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।
প্রশংসা, অভিনন্দন ও কর্মচঞ্চলতার ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসানের কাঁছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “প্রশংসা, অভিনন্দন, আলোচনা- সমালোচনা, প্রচার আমার বিবেচ্য বিষয় নয়, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীর পাশাপাশি একজন সাধারন মানুষও। রাস্ট্রের কাঁছে আমার দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহীতার পাশাপাশি মানুষ হিসাবে আমার সৃষ্ঠিকর্তার কাঁছেও জবাবদিহীতা আছে। তাই আমার প্রতিটি মুহুর্ত নিচক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ ছাড়া আর কিছু নয়।