বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন

বর্তমান সরকারের আমলে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় জাগর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১২৯ বার পঠিত

বর্তমান সরকারের আমলে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় জাগরণ ঘটেছে,

মোঃ মিজানুর রহমানঃ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,২০০৯ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুধু উন্নয়নের ক্ষেত্রে মহাবিপ্লব ঘটেনি,সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রেও জাগরণ ঘটেছে।১৯৭৫ সাল হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর নতুন প্রজন্মকে শুধু বিকৃত ইতিহাসই শেখানো হয়নি,এ সময়টি ছিল সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে একটি রুগ্ন সময়।সকল আঁধার দূর করে সকল বাধার পাহাড় ভেঙে শোককে শক্তিতে পরিণত করে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।জাতীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক হাওয়া বইতে লাগলো সারা বাংলায়।প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ছায়ানীড়ের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশনা,সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন,জ্ঞানমনস্ক মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন,নতুন প্রজন্মকে বইমুখী ও জাতির পিতার আদর্শে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের ১০০০টি গণগ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’ স্থাপন করা হচ্ছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন,সেলুনে আমাদের সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভাবে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে।ছায়ানীড়ের সভাপতি ড.ইউসুফ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত,বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও টাঙ্গাইল জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনছুরুল আলম (হীরা),বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মান্নান মানিক এবং বিশিষ্ট শিক্ষক,সংগঠক ও লেখক অধ্যাপিকা বিলকিস খানম পাপড়ি।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ছায়ানীড়ের পরিচালক অধ্যাপক লুৎফর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন ছায়ানীড়ের প্রশাসনিক পরিচালক শাহনাজ রহমান। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ভাষাসৈনিক বজলুর রহমান রচিত ‘বাংলা ভাষার বিশ্বায়ন ও বঙ্গবন্ধু’, অধ্যাপিকা বিলকিস খানম পাপড়ি রচিত ‘নান্দনিক বাংলাদেশ’, সুকুমার চক্রবর্তী রচিত ‘মৃত্যুঞ্জয় একাত্তর’, প্রফেসর ডা.রতন চন্দ্র সাহা সম্পাদিত ‘স্মৃতিময় বঙ্গবন্ধু’বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.লুৎফুর রহমান লেবু সম্পাদিত ‘একাত্তরের অগ্নিকন্যা’, মুশতাক আহমেদ রচিত ‘সবার আমি ছাত্র’, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার সম্পাদিত ‘ভাষার মিছিলে অগ্রণী যারা’, ডা. ডিকে দাশ সম্পাদিত ‘শত প্রদীপ জ্বলতে দাও’,নাহিদ হোসনা রচিত ‘রক্তে লেখা একুশ’ ও জমির উদ্দিন মিলন রচিত ‘খুচরো পয়সা’ শীর্ষক গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন করেন।অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

পরে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা,প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা স্মারক প্রদান ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

মোঃ মিজানুর রহমান

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..