বরগুনার পাথরঘাটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাঁধের ওপর নির্মিত ৭০ বছরের পুরানো ব্যবসায়ীদের স্থাপনা উচ্ছেদে

মাওলানা আব্দুল মোতালেব বরগুনা থেকে।

ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে পাথরঘাটা নতুন বাজার বণিক সমিতি। মঙ্গলবার বেলা ১টার সময় সমিতির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এরফান আহম্মেদ সোয়েন, বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ আবু সালেহ কাজি, মোঃ আঃ ছত্তার, মোঃ মাসুম আকন, মোঃ বেলায়েত হোসেন, তাসলিমা আক্তার, মোসাম্মাৎ যহুরা সহ অনেকে।

মানববন্ধনে মাসুম আকন জানান, পাথরঘাটা নতুন বাজার একটি দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্য ব্যবসায়ী মার্কেট। এখানে ৭০ বছর ধরে মানুষ ২ শতাধিক স্থাপনা করে ব্যাবসা করে আসছে। যেখন থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বিক্রি করে এবং শত শত ট্রলারে জেলেরা বাজার করে আবার সাগরে চলে যায় ।

এখন বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ৫০টি ঘর ভেঙ্গে দেয়ার জন্য ব্যাসায়ীদের নোটিশ প্রদান করেন। এই নোটিশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল বলে তিনি দাবী করেন। বিএনপি নেতা এরফান আহমেদ বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রতি বছর একশনা বন্ধবস্তের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারকে রেভিনিউ দিচ্ছি।

এখন যদি তাদের জমি দরকার হয় তা হলে বেরিবাঁেধ ওপর সকল ঘর বা স্থাপনা ভেঙে দিবে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু ঘর ভাঙার ব্যাপারে নোটিশ হওয়ায় বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হ্েচ্ছ। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য আমরা মানববন্ধন করছি এবং উএনও’র বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান জানান, নতুন বাজারে কিছু ঘর উচ্ছেদের পক্ষে যারা কাজ করছে তাদের বিপক্ষে ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা আমার কাছে এসেছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাবসায়েিদর বিপক্ষে একটি মহল বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে।

এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে তার কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে। তিনি এই বিষয় ভাল করে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনের ব্যাপারে কাজ করছেন বলে জানান।