বরগুনায় নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
মোঃ ইফতেখার মোরশেদ রিমন বরগুনা জেলা ব্যুরো প্রধান।
বরগুনার পায়রা নদীতে পন্যবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই ট্রলার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের শসাতালা পায়রা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিতহ শ্রমিকরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার লাকুরতলা এলাকার কমল সমাদ্দার (৩৮) ও ছোট লবনগোলা এলাকার আবদুল খালেক (৫০)।
তালতলী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আকতার উদ্দিন জানান ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়েছে । তালতলী , বগি খেয়াঘাট সোজা মাঝ নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সনাক্ত করা হয়। এরপর বরিশাল, পটুয়াখালী , বরগুনার তালতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবরি দলের সদস্য উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে । ডুবে যাওয়া ট্রলারের ইঞ্জিন রুম থেকে এক জনের লাশ এবং নদীতে ভাসমান অবস্থায় একজনার লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার অভিযানে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্য, পটুয়াখালী জেলার ৬ জন এবং বরগুনা তালতলী ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্য যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। ২০-২২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে পায়রা নদীর চাড়াভাঙা ও শশাতলী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার বরগুনা সদর থেকে কোটি টাকার পন্য নিয়ে এফবি মায়ের দোয়া নামের ট্রলারটি তালতলীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এরপর রাত ১১ দিকে বরগুনার পায়রা নদীর চাড়াভাঙা এলাকায় পৌঁছলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে। এসময় মাঝ নদীতে থাকা ট্রলারটি পায়রা নদীর বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে। এসময় দুই শ্রমিক পানি অপসারণ এর জন্য ইঞ্জিন রুমে প্রবেশ করেন। পরবর্তী ঢেউয়ে ট্রলারটি নদীতে তলিয়ে যায় ।এসময় প্রাণ বাঁচাতে ৫ ট্রলার শ্রমিক নদীতে ঝাঁপ দেয়। তারা সাতরে তীরে উঠে। তিন জেলার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালিয়ে আজ বেলা ১২ টার দিকে নিখোঁজ এক শ্রমিক মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তালতলী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আখতার উদ্দিন রিপোর্টার বাংলা টিভি কে বলেন ট্রলার ডুবির ঘটনার পর থেকেই আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করি। নদীতে ঢেউ ও তীব্র স্রোত থাকার কারনে ট্রলার শনাক্ত করতে আমাদের বেগ পেতে হয়। ট্রলার শনাক্তের পর আমরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করি।