মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

বন্দর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন সুুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে : জেলা প্রশাসক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬ বার পঠিত

এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সোমবার লক্ষ্মণখোলা ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ বন্দর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
এসময় তার সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা  উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বন্দর উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পূজা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক, সকলকে ধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রেখে আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করার জন্য আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা যারা কমিটিতে আছি, আমরা চাই আপনাদের সঙ্গে সমান তালে আনন্দ উপভোগের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজা সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হোক। শারদীয় দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের ওপর অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাই আমরা অনেক সাবধানে থাকবো, সতর্ক থাকবো। আমাদের একটি চমৎকার টিম রয়েছে।

দুর্গাপূজা ঘিরে কোথাও ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে বা ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ায়ে তা আমাদের জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। পূজা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে অবহিত করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম থাকবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। পূজার ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় পূজা চলাকালীন শুধু আজান ও নামাজের সময় উচ্চৈঃস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে।  প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। সেনাবাহিনী, র‍‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় টহল দেবে। পূজায় বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর রাখতে হবে। নারী-পুরুষ যাতে সুশৃঙ্খলভাবে পূজামণ্ডপে যাতায়াত করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সবার মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..