ফ্রি সেচ সুবিধায় খুশি কৃষক, জ্বালানি সাশ্রয় ৮১ কোটি টাকা
জসীম উদ্দিন ইতি (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে খরিফ-২ (আমন) মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায়
ছিলেন কৃষক। তবে সে দুশ্চিন্তা থেকে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমন
ধানের জমিতে সম্পূরক সেচের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন
বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়িত
ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের ৮০০ হেক্টর, টাঙ্গন বাঁধ সেচ প্রকল্পের ৪৪৫০
হেক্টর, বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পের ১৭২০ হেক্টর জমিসহ জেলার সব সেচ
প্রকল্পের মাধ্যমে ১১,৬৬৫ হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদানের উদ্যােগ
গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ১১,৬৬৫ হেক্টর জমিতে ৫৮,২৭৫ মেট্রিক টন
ধান উৎপন্ন হবে। যার মূল্য ১১৫ কোটি টাকা। এতে আনুমানিক ৮১ কোটি টাকার
জ্বালানি সাশ্রয় হবে।
আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচে কৃষিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। স্বপ্ন
দেখছেন ভালো ফসল উৎপাদন ও চড়া দামের।
বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী কৃষক দয়াল রায় বলেন, এখন যে
পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন, তা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে
আমন জমিতে পানি দেওয়ায় হতাশা দূর হয়েছে। ভালো ফসল হবে আশা করছি।
ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের বাঁধের
আওতায় ১ হাজার কৃষক সম্পূরক সেচ পাচ্ছেন। আমরা আমন ধান নিয়ে অনেক বেশি
দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। আর এবার যখন বৃষ্টি দরকার, তখন আমরা বৃষ্টি
পাইনি। তবে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে আমিসহ আমাদের এখানকার কৃষকরা অনেক
উপকৃত হচ্ছেন। যেন কৃষিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
জেলার টাঙ্গন, বুড়ি ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের পুর্নবাসন প্রকল্পের
পরিচালক ও প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, আমন জমিতে সেচ প্রকল্পের
মাধ্যমে কৃষকরা দারুণভাবে লাভবান হচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি কৃষকদের পাশে
থাকার। সম্পূরক সেচের মাধ্যমে বড় অঙ্কের জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ অফিসার রফিউল
বারী বলেন, আমরা সব সময় কৃষকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। খরা মোকাবিলায় আমরা
আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা মনে করছি, এর
মাধ্যমে কৃষক কৃষিতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।