বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন

ফুলতলায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমির উপর দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৬২ বার পঠিত

ফুলতলায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
সরকারি খাস জমির উপর দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ

খুলনা থেকে শাওন আহমেদ ।।

খুলনার ফুলতলা উপজেলার পায়গ্রাম কসবা এলাকায় সরকারি খাস জমির উপর সীমানা প্রাচীর বা দেওয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ইট ভাটা ব্যবসায়ি লূৎফর রহমান ভূঁইয়া ওরফে লেলিনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসি সংশ্লিষ্টদের অবগত করেন। এ দিকে নানা ধ্রুব জাল সৃষ্টি হয়েছে এই দেওয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক ব্যাক্তি জানান, ফুলতলার পায়গ্রাম কসবা লিজ কেস নং-২/৭৭-৭৮, এস এ খতিয়ান ৪২৮, এস এ দাগ নং-৬৩৬. আর এস খতিয়ান ১/১, আর এস দাগ নং ৮৫৩ জমিতে পাকা দেওয়াল নির্মাণ করেছেন লুৎফর রহমান ভূঁইয়া (লেলিন)। দেওয়ালটি পায়গ্রাম কসবার পঙ্কজের মোড় থেকে শুরু হয়েছে। এছাড়াও সরকার কর্তৃক রাস্তার জন্য অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তিতে দেওয়াল নির্মাণ করেছেন লেলিন। যার অধিগ্রহন কেস নং-২/৯৭-৯৮।
তথ্যমতে, লেলিন ভূঁইয়ার পায়গ্রাম কসবা এলাকায় একাধিক জমি দখলে রয়েছে। যারমধ্যে কিছু জমি নিজ ক্রয়কৃত রয়েছে ইজারাকৃত সম্পত্তি এবং খাস সম্পত্তি যা (ইজারাহীন) রয়েছে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি থেকে গাছ পালা কর্তন সহ মাটি কেটে ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করেছেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। এখানেই শেষ নয়। সরকারি খাস জমির উপর দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে সর্বমহলে গুঞ্জন উঠেছে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ফুলতলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিজান সহ অফিস সহকারী বারেকের সাথে রয়েছে লেলিন ভূঁইয়ার গভীর সখ্যতা। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগের বিষয় উঠে আসুক না কেন, বারেক ও মিজানের কাছ থেকে একটু বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন লেলিন ভূঁইয়া। তথ্যমতে আরো জানাযায়, ভূমি অফিস থেকে লেলিন ভূঁইয়া সরকারি খাস সম্পত্তির উপর দেওয়াল নির্মাণ করেছে কি না , এ বিষয় সরেজমিনে অফিস সহকারী (বড় বাবু) বারেককে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন কর্তৃপক্ষ। তবে দেখা যায়, লেলিন ভূঁইয়ার বাইকে চেপে খোস গল্প করতে করতে বারেক পয়গ্রাম কসবার উদ্যেশে যাত্রা করেন। তাহলে কি এমন তথ্য আসবে তা সন্দেহ রয়েছে।
কথা হয় লুৎফর রহমান ওরফে লেলিন ভূঁইয়ার সাথে। তিনি বলেন, আমার নিজ ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। কোন খাস সম্পত্তির উপর নয়।
এদিকে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিনকে বিষয়গুলো মুঠোফোনে অবগত করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তবে ব্যবসায়ি লেলিন ভূঁইয়াকে পায়গ্রাম কসবার ওই দেওয়াল নির্মাণকৃত জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি রহস্যজনক কারণে বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। এছাড়া এ প্রতিবেদকে মোটরসাইকেলের তেল খরচ দেওয়ার জন্য জোড়াজোড়ি করতে থাকে। তখনই বোঝাযায় লেলিন ভূঁইয়ার অবস্থান কতটুকু নড়বড়ে। ব্যবসায়ি লেলিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে । যা আগামী প্রতিবেদনে প্রকাশ হবে। (চলবে)

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..