স্টাফ রিপোর্টার আমির হোসেন
ইতিমধ্যেই অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠানে ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে সর্বমোট ৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষে উপহার স্বরূপ এসব প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ভবন আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
মন্ত্রী ইমরান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আধুনিক ভবন নির্মাণের ফলে কক্ষ সংকট দুর হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও স্বাচ্ছন্দে ক্লাস করতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি এবং কারগরি শিক্ষা মান উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ ও সালুটিকর কলেজে তথ্য প্রযুক্তির সুবিধাসহ দুটি আইসিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের ( সেসিপ) আওতায় ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ডাঃ ইদ্রিস আলি উচ্চবিদ্যালয় ও ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে
আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মানের প্রোগ্রাম সরকার হাতে নিয়েছে। উক্ত প্রতিষ্টানটি স্থাপন হলে গোয়াইনঘাট উপজেলার বেকার সমস্যা সমাধানে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে।
সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচিত বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বীরমঙল উচ্চ বিদ্যালয় ৫ তলা ভবন, ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা হাকুর বাজার উচ্চবিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবন এবং ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে হাজী মদরিছ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবনের কাজ চলমান। নির্বাচিত বে-সরকারি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বারহাল আলিম মাদ্রাসা ৪ তলা ভবন,৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আংগারজুর আলিম মাদ্রাসায় ৪ তলা ভবন এবং ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা বাউরবাগ হাওর আলিম মাদ্রাসায় ৫ তলা ভবনের কাজ চলমান।
নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে হাজী সোহরাব আলি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিন্নাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়, ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কুপার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়,১ কোটি ২ লাখ টাকা পশ্চিম জাফলং উচ্চ বিদ্যালয়, ১ কোটি ২ লাখ ব্যয়ে সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ও ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দশগাঁও নওয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কাজ চলমান রয়েছে। নির্বাচিত সরকারি এবং বে সরকারি বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প ( ৭০১৬) এর আওতায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ইমরান আহমদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়,৭৫ লাখ টাকা ফারুক আহমদ কুনকিরি উচ্চ বিদ্যালয়,৭৫ লাখ টাকা ব্যয়েগোরাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ আদর্শ বিদ্যালয়,১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে গুরুকচি উচ্চ বিদ্যালয়, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বগাইয়া হাওর আলিম মাদ্রাসা, ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পুকাশ স্কুল এন্ড কলেজ ও ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে লামনী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়াও মেরামত ও সংস্কার কাজের জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলায় ইমরান আহমদ বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ১০ লাখ টাকা, তোয়াকুল বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা, কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা, নলজুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা, ডৌবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা, পিয়াইনগুল কলিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা, গোরাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং আলিরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোয়াইনঘাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান জানান, আগামী দেড় বছরের মধ্যে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনগুলো দৃশ্যমান দেখা যাবে।
তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলোর কাজের গুণগত মান বাজায় রাখতে আমরা নিয়মিত তদারকি করে আসছি। পাশাপাশি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন।
সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম বলেন, মাননীয় মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়িত প্রকল্পের কাজ যথাযথ ভাবে সম্পন্নকরণে আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের ঘাটতি নেই।