প্রত্যন্ত পল্লীতে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে
মাগুড়া দোলাপাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সরকার সালাউদ্দীন সুমন, রংপুর বিভাগ।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড,যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি ততো উন্নত। নোপোলিয়ন বলেছিলেন আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দিব। এই উক্তি কে সামনে রেখে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লীতে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মাগুড়া দোলাপাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।
মাগুড়া দোলাপাড়া গ্রামের সমাজসেবক ব্যাক্তি দাতা আলহাজ¦ সদল হোসেন এর ৫০ শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি ২০০০ ইং সালে স্থাপিত হলেও পাঠদানের অনুমতি পান ০১ জানুয়ারী-২০০২ইং, একাডেমি স্বীকৃতি পান ০১ জানুয়ারী-২০০৫ইং সালে। সর্বশেষ ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ইং সালে বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশসহ যাবতীয় কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই করে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউসি) কর্তৃক এমপিও ভুক্তি প্রদান করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৫৫ জন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকসহ মোট ১০ জন শিক্ষক বিদ্যালয়টিতে সর্বদা পাঠদান করান। কর্মচারী রয়েছে ২ জন। সর্বশেষ জেএসসি পরীক্ষায় অত্র বিদ্যালয় থেকে ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ সহ বিভিন্ন গ্রেডে ৫২ জনই পাশ করেন।
ফলাফলের দিক থেকে ২০১০ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত শতভাগ পাশ করে আসছেন। অত্র বিদ্যালয়ের সরেজমিনে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা বিষয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আরশি আক্তার,রেজওয়ানা আক্তার, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী শোভা মনি, সম্্রাট হোসেন,৮ম শ্রেণির ছাত্র মোরসালিন হোসেন বলেন,আমাদের বিদ্যালয়ে কোন বেতন দিতে হয় না। শিক্ষারমান অনেক ভালো। স্যাররা আমাদেরকে সুন্দর ভাবে পাঠদান কারান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: তানজিনা আক্তার বলেন শিক্ষকরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর সঠিক শিক্ষার আলো কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ আলম বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রির ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একটি মডেল বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করা। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের নামের সাথে মিল রেখে একটি আদর্শবান স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়াই আমার মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্যে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নুরুল আমিন শাহ বলেন বিদ্যালয়টি আগে যে ভাবে চলছিল এমপিও ভুক্তির পর থেকে আরো ভাল চলছে।