‘প্রকৃত অভিভাবক’ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক,
এসএম আলীরাজ হোসাইন,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি,
এক শোকবার্তায় বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কেবল কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর আড়াই বিলিয়ন মানুষের বন্ধনের ভিত্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন করুণা, মর্যাদা, প্রজ্ঞা আর সেবার মূর্ত প্রতীক।
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে অসীন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিটিশ প্রধানন্ত্রী লিজ ট্রাসের উদ্দেশে লেখা এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কেবল কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর আড়াই বিলিয়ন মানুষের বন্ধনের ভিত্তি আর শক্তিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন করুণা, মর্যাদা, প্রজ্ঞা আর সেবার মূর্ত প্রতীক।
“মহামান্য রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি আপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং যুক্তরাজ্যের জনগণের উদ্দেশ্যে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
রাণীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজপরিবারের সকল সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের শোকাহত জনগণের সঙ্গে আমরাও সমব্যথী।”
২০১৮ সালে লন্ডনে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে নিজের সাক্ষাতের কথাও চিঠিতে স্মরণ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
“স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আবেগমাখা বার্তা পাঠিয়েছিলেন, লিখেছিলেন বন্ধুত্ব আর ভালোবাসাই আমাদের বন্ধন গড়ে দিয়েছে, যা আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি, সেটা পঞ্চাশ বছর আগে যেমন ছিল, এখনও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
রাণীর ওই বার্তা দুটি কমনওয়েলথ দেশের বন্ধনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে- এই প্রত্যাশা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “তার দুঃখজনক প্রয়াণে বাংলাদেশের মানুষ এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি শুধু একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকেই হারালাম না, একজন প্রকৃত অভিভাবকও হারালাম।”
রাণীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।