মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাকিব আহম্মেদ বাপ্পি :
আগামীকাল রোববার থেকে পোশাক কারখানা খোলাকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়া-বাঙলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী ও ব্যাক্তিগত পারাপারের ফেরীগুলোতে তিল ধরনের ঠাই নেই। শনিবার সকাল হতে নৌরুটের সচল ৯টি ফেরিতে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী, ব্যাক্তিগতগাড়ি।
বাঙলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে ঢাকা মুখী যাত্রী বোঝাই করে আসছে। ফেরিতে যাত্রীর চাপ ও গাদাগাদিতে আজও উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
অপরদিকে শত শত যাত্রী ও পোশাক শ্রমিকরা দিঘির পাড় দিয়ে ট্রলার যোগে ঢাকামুখি যাত্রীদের চাপ রয়েছে। দিঘির পাড় হয়ে মুক্তারপুর হয়ে ঢাকায় যার যার গন্তব্যে ছুটছে। কোনভাবেই তাদেরকে রোধ করা যাচ্ছে না।
জিয়াসমিন নামের এক নারী শ্রমিক বলেন, আমাদের গার্মেন্টস খুলছে আমাদের বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। না গেলে চাকরি থাকবে না।
ঢাকা মিরপুরের একটি গার্মেন্টসের শ্রমিক হাবিব জানান, গরিব করোনায় মরবো না, গরিব মরবো না খাইয়া। গাড়ি চালু না করেই গার্মেন্টস খুলে দিলো। এখন আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। ভাড়াও বেশি লাগছে।
গাজীপুর গামী মনির শেখ নামের আরেক শ্রমিক বলেন, সরকার লকডাউন দিছে, একেমন লকডাউন সব তো খোলা। গার্মেন্টস ও খুলে দিছে। এখনতো যাইতেই হবে, অফিস থেকে বারবার কল দিচ্ছে। ২শ টাকার ভাড়া ৮শ টাকা টাকা লাগছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে ছোটবড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি সচল রয়েছে।