পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সৈয়দপুরের বিমানবন্দরে হত্যার চেষ্টা, এলাকাবাসী বাধা দেয়ায় তাদের দোকান ভাংচুর, রয়েজ উদ্দিন সুমন সহ দুই এলাকাবাসী হাসপাতালে।
নিউজ ডেস্ক:
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গত কাল ১৬ এপ্রিল /২২ সৈয়দপুরের বিমানবন্দর নতুন মুন্সিপাড়ায় মোঃ রয়েজ উদ্দিন সুমন(৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে কোদাল সহ বিভিন্ন দেশিও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে মোঃ হেলাল(৫০), গফুর সহ একদল সন্ত্রাসী। এলাকাবাসীর দাবি মোঃ গফুর মুক্তিযোদ্ধা নয়, সে ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা। সে নাকি এলাকায় তার আধিপত্য বিস্তার করার জন্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছে। তাছাড়া সে নারী লোভী, সে এলাকার বিভিন্ন সহজ সরল নারীদের লালসার স্বীকার করা সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানায়।
ড্রেনের ময়লা কাঁদা ও পানি অন্যের জমিতে বাসার পিছনে রাখাকে কেন্দ্র করে এর সুত্রপাত। মোঃ আলাউদ্দিন তার বাসার পিছনে জায়গায় যেন ময়লা ও দুর্গন্ধ যুক্ত ড্রেনের ময়লা আবর্জনা না ফেলে সেজন্য অনুরোধ করতে গেলে মোঃ হেলাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এক পর্যায়ে তার ছেলে মোঃ রয়েজ উদ্দিন সুমন বাধা দিতে এলে তাকে ইট পাটকেল ছুড়ে মারে ও বিভিন্ন দেশিও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় এতে বাদীর মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে।
এলাকাবাসী রয়েজ উদ্দিন সুমনকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিলে মোঃ হেলাল(৫০) তার ভাই ভাতিজা, বউ সহ একদল সন্ত্রাসী এতে বাঁধা প্রদান করে। তাদের কথা রয়েজের মৃত্য নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কোথাও যেতে দিবে না। কোদাল, খুন্তি সহ দেশিও অস্ত্র নিয়ে হেলাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের যাবার পথ অবরোধ করে যেন রক্ত ক্ষরণে রয়েজ উদ্দিন সুমন এর মৃত্যু হয়। এলকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে সোজা পথে আসতে না পেরে বিকল্প পথে সৈয়দপুর ১০০ সজ্জা বিশিষ্ট হাসপাতাল এ এসে ভর্তি করে।
মোঃ রয়েজ উদ্দিন সুমন বলেন, তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এই হামলা কান্ড, তাকে মেরে লাশ গুম করে ফেলতে কোন সমস্যা হবেনা না কি, কারণ প্রশাসন, সব বিভিন্ন নেতারা তার হাতে আছে। বিভিন্ন ভাবে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি আশা করবো সন্ত্রাসী হেলালকে গ্রেফতার করে প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রশাসনের প্রতি অঘাত বিশ্বাস আছে আমি ন্যায় বিচার পাবো।
এর জের ধরে দোকানে হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর করে দোকানের ক্যশ বাক্স লুট করে এবং দোকানের মালামাল জোর করে বের করে দিয়ে মোঃ হেলাল দোকানটি নিজের দাবি করে দোকানে তালা মেরে দেয়। যদিও দোকানটি অন্য একজনের কাছে ভাড়ায় নিয়ে চালাচ্ছে। হত্যার উদ্দেশ্য রয়েজ উদ্দিন সুমন সহ তার পরিবারের লোকজনকে মোঃ হেলাল সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী পিটাইতে থাকলে এলাকা বাসীর সাথে দোকানদার ও তার ছোট ভাই তাদের বাধা প্রদান করে। এটাই দেকানদারের অপরাধ। তাই তাদের দোকানের সমস্ত মালামাল লুট করে।
পরে এলাকা বাসী জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে এস আই পলাশের নেতৃত্বে সৈয়দপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সে সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করে মোঃ হেলাল সহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য শ্লোগান দিতে থাকে।
স্থানীয় জনতা জানায়, ” তারা বলেছে থানা পুলিশ নাকি তার হয়ে কাজ করবে কারণ ওসি এসপি নাকি তার নিজের লোক। তাই বেশি বাড়াবাড়ি করলে সবাইকে দেখে নিবে।” এলাকাবাসী দাবি, হেলাল সহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা কেউ বাসায় যাবে না। পরে স্থানীয় কাউন্সিল মোঃ বেলাল হোসেন ও এস আই পলাশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে। এস আই পলাশ বলেন, পুলিশ কারো বাবার না যে তাদের কথায় চলবে। যেহেতু সমস্ত এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিচ্ছে তাই এই গ্রহীত অপরাধের জন্য মোঃ হেলাল কে যথাযথ নিয়ম মেনে আইনের আওতায় আনা হবে। পরে দোকান ভাংচুর ও তার অন্যান্য অপকর্মের সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়ায় দোকানের মালামাল সহ সবকিছু সরানোর জন্য বলেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দোকানদার, তার ছোট ভাই ও মোঃ রয়েজ উদ্দিন সুমন সৈয়দপুর ১০০ সজ্জা বিশিষ্ট হাসপাতাল এ চিকিৎসাধীন আছেন। মোঃ হেলাল, গফুর সহ তাদের পরিবারের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের নামে মামলা প্রকৃয়াধীন।