পিবিআই পরিদর্শক মাসুদের বিরুদ্ধে
দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলাটি ছিল মিথ্যা
১৭৩ ধারায় চ‚ড়ান্ত
প্রতিবেদন দাখিল
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার আলোচিত পিবিআই পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কথিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি ছিল মিথ্যা। মামলার বাদী ডুমুরিয়ার বাসিন্দা আমজাদ শেখ এবং কেএমপির খুলনা থানায় তৎকালীন এবং বর্তমানে খালিশপুর থানায় কর্মরত এএসআই মো: মিরান শেখ পরষ্পর যোগসাজসে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে মামলাটির চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসাথে এএসআই মিরানের কাছে পিবিআই পরিদর্শক মাসুদের পাওনা ১৬ লাখ টাকা না দেয়ার লক্ষ্যেই এজাহারে বর্ণিত ঘটনা সাজিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয় বলেও তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মানের কথা উল্লেখ করা হয়। কেএমপির খুলনা থানার এসআই লতিফা রহমান পপি ও এসআই নান্নু মন্ডল তদন্তটি করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নান্নু মন্ডলের গত ১২ অক্টোবর স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনের একটি কপি গতকাল বুধবার দৈনিক পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ে আসে।
‘ফৌজদারী বিধান কোষের ১৭৩ ধারামতে চ‚ড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা’ এমন শিরোনামের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খুলনা থানার গত ১৫ মে’র ১৫ নম্বর মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর উক্ত দু’তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল গোপনে ও প্রকাশ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। মামরার বাদী ও সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ, ভিকটিমের জবানবন্দি, ডাক্তারী পরীক্ষার প্রতিবেদন, ডিএনএ টেষ্ট ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভিকটিমের দেয়া বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তাছাড়া গত পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ভিকটিম পারভীন খাতুনের সাথে এএসআই মো: মিরান শেখের সাথে মোট দু’হাজার ছয় বার মোবাইলে কথা হয়েছে। এছাড়া মামলার আগের তিনটি দিন তারা দু’জন নগরীর দৌলতপুরের একটি বাসায় রাতে অবস্থান করেন এমনও প্রমান মেলে। সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মূলত: এএসআই মো: মিরান শেখের কাছে পিবিআই পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের পাওনা ১৬ লাখ টাকা না দেয়ার লক্ষ্যেই প্রতিশ্রতি অনুযায়ী ওই টাকা দেয়ার কয়েকদিন আগেই ভিকটিমকে দিয়ে উক্ত ঘটনা সাজিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে, উক্ত মামলার পর ইতোমধ্যে পিপিআই পরিদর্শক মাসুদ কারাবরনও করেছেন। মামলা ও কারাগাভোগ করায় তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থাও নেন পিপিআই কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলাটি সাজানো এবং মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তার কারাভোগ, আইনী ব্যবস্থা ও হারিয়ে মান-সম্মান কিভাবে ফিরে পাবেন সেটিই প্রশ্নের বিষয়।
অপরদিকে, মামলার বাদী ডুমুরিয়া উপজেলার গোনালী শোভনার আমজাদ শেখ গতরাতে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে কিছু জানতে না চাওয়াই ভালো।