পাইকগাছার কপিলমুনিতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
বি.সরকার, স্টাফ রিপোর্টার খুলনা।
“খালি হাত এসেছো খালি হাত চলে যাবে, যা কিছু আজ তোমার সেটা অন্যদিন কারো ছিল, পরশু সেটা আরো কারো হয়ে যাবে। আজ তুমি যে জিনিস নিজের বলে প্রসন্ন, সেটাই তোমার দুঃখের কারণ।”
“যখনই সত্যের সাথে অসত্যের লড়াই হয় তখন সত্য একা দাঁড়ায় অসত্যের বাহিনী হয় বিশাল, কারণ তার পেছনে মূর্খ, লোভী, স্বার্থপর ও বিশ্বাসঘাতকেরা থাকে।
“ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখরিত বাণী”
পরমব্রহ্ম লীলাপুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৮ তম শুভ আর্বিভাব তিথী জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে কপিলমুনিতে স্মরণ কালের সর্বশ্রেষ্ঠ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৮টায় কপিলমুনি বেদমন্দির কমিটির আয়োজন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি কপিলমুনি বাজার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় ঢাক, ঢোল ও বাদ্য যন্ত্রের শব্দে শোভাযাত্রাটি মুখরিত হয়ে উঠে। আনন্দের কলতানে শ্রীকৃষ্ণের এ শোভাযাত্রায় মধ্য বয়সী থেকে শুরু করে সনাতনী মায়েরা ও শিশুরা অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রা অঙ্গনে সারথি ছিলেন, কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, কপিলমুনি ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি যুগোল কিশোর দে, সাধন কুমার ভদ্র, রামপ্রসাদ পাল, বিধান ভদ্র, জগদীশ দে, হিমাদ্রী শেখর দে, সন্দীপ সাধু, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, অলোক মজুমদার, ভরত পাল, গৌতম পাল, কৃষেন্দু দত্ত, বিপ্লব সাধু, বিশ্বজিত সাধু, শিক্ষক মিন্টু সাহা, রনজিত অধিকারী, উত্তম অধিকারী, বিশ্বজিত সাধু, অনুপম সাধুসহ অত্র এলাকার শত শত সনাতন সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষ। প্রসঙ্গতঃ জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবালম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় উৎসব। এটি বিষ্ণু অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসাবে পালিত হয়। অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমীরোহিনী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিনী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন, দেবকী ও বসুদেব এর সন্তান এবং হিন্দু ধর্মাবালম্বীরা তার জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিসাবে পালন করে থাকে।