পহেলা বৈশাখে বর্ণিল শোভাযাত্রায় ইতিহাস গড়লেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
নারায়ণগঞ্জে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।এই প্রথম নারায়ণগঞ্জে এত বড় আকারে আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বর্ষররন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসী। জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার কঠোর নির্দেশনার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছারাই শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপিত হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন জেলা ও মহানগর বিএনপি,জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউট, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট,বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা, সাংবাদিক, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর নেতা কর্মী এবং নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন সবার অংশগ্রহণে সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল পেশার মানুষ সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পেরেছি। এর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আরো বলেন আমাদের সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য তাই আমাদের এই ঐতিহ্য কে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমরা সামাজিক সম্প্রীতির মধ্যে থাকি। বাংলাদেশ সামাজিক সম্প্রীতির একটি নিরাপদ স্থান। আজকে দেখেন আমরা সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একত্র হয়েছি। আসুন সব সময় মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান আমরা এক কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশটাকে এবং আমাদের ঐতিহ্যকে আরো বিকশিত করব করব।আমাদের পুরনো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনবো।
সকাল ৯টায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় হাতি,ঘোড়া, পালকি, ঢেকি ও বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ তুলে ধরা হয়। পরে শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জেলার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও নানা আয়োজন করেন।