আমির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলমান কঠোর লকডাউন এক সপ্তাহের জন্য শিথিল করতে যাচ্ছে সরকার। কোরবানির পশু বেচাকেনা, ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে বিধি-নিষেধে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিধি-নিষেধ শিথিল করা সংক্রান্ত নথি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদন শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছে। এ বিষয়ে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর চিন্তা করছে সরকার। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহন। এ সময় খুলে দেওয়া হতে পারে দোকানপাট ও শপিংমল। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস আগের মতোই বন্ধ রাখা হতে পারে। তবে, করোনার সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন শতভাগ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে, লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে সোমবার (১২ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘গরু ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের কথা বিবেচনা করে ঈদের সময় চলমান বিধি-নিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চলমান কঠোর লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৪ জুলাই মধ্যরাতে। করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেও কোরবানির ঈদে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ও পশুর হাটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিধি-নিষেধ শিথিল করা হতে পারে। তবে, ঈদের পর করোনা রোধে আবারও কঠোর লকডাউন আরোপ করবে সরকার।
চলমান কঠোর লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। সব গণপরিবহন ও দোকানপাট-শপিংমল বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।
নতুন বিধি-নিষেধ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন আগে যে ব্যবস্থাপনায় চলতো, সে ব্যবস্থায় আবারও চালু হতে যাচ্ছে। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রীরা বসবেন। কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। দোকানপাট এবং শপিংমলগুলোতে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দোকানের প্রবেশদ্বারে অবশ্যই স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে এক দিনে করোনাভাইরাস সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে রোববার (১১ জুলাই)। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৪ জন।