পদ্মা সেতু উত্তরে পুলিশের হাতে ২২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মেহেদী সুমন
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা পুলিশ গাঁজাসহ সিএনজি চালক মোঃ আমির হোসেন নামে এ কে গ্রেফতার করেছে। এ সময় সাথে থাকা অপর দুই সহযোগী
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।গতকাল বুধবার রাতে ২২ কেজি গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। পদ্মা(উত্তর) থানা পুলিশের নিয়মিত টহলের সময় মেদেনীমন্ডল ইউনিয়ন দক্ষিণ মেদেনীমন্ডল মোঃ আব্দুল লতিফের মালিকানাধীন পদ্মা জেনারেল স্টোরের সামনে থেমে থাকা সিএনজির ভিতরে গাঁজা ভর্তি দুটি চটের বস্তা পাওয়া যায়। এসময় পদ্মা সেতু উত্তর থানার এএসআই (নিঃ)মোঃ আনিচুর রহমান ও এসআই (নিঃ) তাইফুর রহমান,আশিকুর রহমান সন্দেহ জনক ভাবে সিএনজির সহ তিন জন ব্যক্তি দেখে গাড়ি থামিয়ে সিএনজির মধ্যে থাকা চটের বস্তুার মধ্যে কি জানতে চায়। এক পর্যায়ে দুজন দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।তখন সিএনজি চালককে আটক করে তার সাথে থাকা বস্তা খুলে গাঁজা পাওয়া যায়।গাঁজাসহ তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সিএনজি চালক মোঃ আমির হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাক্ষনদি ইউনিয়নের ছোট মনোহরদি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।৬টি পোটলায় ২২ কেজি গাঁজা যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে গাঁজার এই চালান টি ঢাকার কেরানীগঞ্জ অথবা লৌহজংয়ের ঘোয়ালীমান্দ্রায় যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।গত বুধবার ঘোয়ালীমান্দ্রায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বিরোধী আন্দোলন করেছে।সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ধারণা করছেন যে এই চালান টি ঘোয়ালীমান্দ্রায় প্রবেশ করতো।তাদের মাদক বিরোধী আন্দোলন ছিলো ভিন্ন রকম কৌশল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, নিয়মিত টহলে মাদকের এই চালান টি সিএনজি চালকসহ আটক করা হয়েছে।নৌ পথে গাঁজার এই চালান টি আসছে ধারণা করা হচ্ছে। সিএনজি তে লোড করার সময় তাঁকে আটক করা হয়। আমার মনে হয় শুধু ২২ কেজি নয় আরও গাঁজা রয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চালানো হবে।