পটুয়াখালী পুরি ও সিঙ্গারা বিক্রি করে মাসে আয় এক লক্ষ আশি হাজার টাকা।
আবদুল আলীম খান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর পাশে চোখ গেলে দেখা যায় পরিবারের সবাই ব্যস্ত পুরি ও সিঙ্গারা বানাতে।
বিকেল নেমে আসলেই সারি সারি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে মানুষ সিঙ্গারা ও পুরি খাওয়ার জন্য, আপনি গেলেই কিন্তু সাথে সাথে পাবেন না অপেক্ষা করতে হবে। আর বসার তেমন কোন সুব্যবস্থা নেই,পাশে দাঁড়িয়েই নিতে হচ্ছে পুরি ও সিঙ্গারা। আগে বসার সুব্যবস্থা ছিল যখন পটুয়াখালীতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখন সুন্দর রাস্তা হওয়ার কারণে দাঁড়িয়েই বিক্রি করতে হচ্ছে সুস্বাদু পুরি ও সিঙ্গারা।
স্থানীয়রা জানায়, সুমনের ঐতিহ্যবাহী পুরি ও সিঙ্গারার বিকল্প আর কিছু নেই, যেখানে এখন বর্তমানে সিঙ্গারার ও পুরি দশ টাকায় করে বিক্রি করে সেখানে সুমন মাত্র ৩ টাকায় বিক্রি করে আর ডালের পুরি অন্য কোথাও পাওয়া যায় না, এদের পুরীতে এক অন্যরকম স্বাদ, পটুয়াখালী শহর ছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে তার পুরি ও সিঙ্গারার স্বাদ নিতে ছুটে আসে।
পুরি ও সিঙ্গারা তৈরির জন্য পুরো পরিবার কাজ করে, আর এখন তার নিজের বাসায় সিঙ্গারা ও পুরি তৈরি করে বিক্রি করছে।
২৭ বছর যাবত বিক্রি করে আসছেন সুস্বাদু পুরি ও সিঙ্গারা।যা প্রথমে দাম ছিল ১টাকা এখন সবকিছুর দাম বাড়ার কারনে বর্তমানে পুরি ও সিঙ্গারা বিক্রি করছেন ৩ টাকা। প্রতিদিন প্রায় ২০০০-২৫০০ পিস পুরি ও সিঙ্গারা বিক্রি করে।
২৭ বছর যাবত পুরি ও সিঙ্গারা বিক্রি করছেন মোঃ আনিস আকন। বয়স বেড়ে গেছে তাই তিনি এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছে ব্যবসার হাল ধরেছেন তার ছেলে মোঃ সুমন আকন, আটজনের পরিবার এখন স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন।পুরি বিক্রি করে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। জন্মসূত্রে তাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা হলেও স্থায়ীভাবে জায়গা কিনে বাড়ি করে পটুয়াখালী শহরের ৫নং ওয়ার্ডে রুস্তম পন্ডিতের গলিতে বসবাস করেন।
মোঃ আনিস আকন বলেন, বাবা এখন বৃদ্ধ হয়েছে, সেই ছোটবেলা থেকে দেখেছি বাবা অনেক কষ্ট করেছে আমাদের জন্য দীর্ঘ ২৭ বছর যাবৎ পুরি ও সিঙ্গারা নিজ হাতে বানিয়ে বিক্রি করছেন। এখন বাবার ব্যবসার হাল আমি নিজে ধরেছি, আপনাদের সকলের দোয়া ও ভালবাসায় আল্লাহ খুব ভালো রেখেছে, সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করছি। প্রতিদিন প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকার মত বিক্রি করছি।