খুলনায় আত্মসাৎকৃতপাঁচ লাখ টাকা উদ্ধারসহ এক আসামীকে আজ রবিবার ( ১২ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার করেছে কেএমপি’র খুলনা থানা পুলিশ। আসামী নড়াইলের নড়াগাতী থানার মুন্সী বেলায়েত হোসেনের পুত্র মঞ্জুর কাদের (৩০)। সে খুলনায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, খুলনার কালিবাড়ি রোড এলাকায় বসবাসরত সিদ্দিকুর রহমান শিকদারের ছেলে শিকদার নাজমুল হাসান (৩৩) এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মঞ্জুর কাদের (৩০) দীর্ঘ ৫/৬ বছর যাবৎ কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছে। দীর্ঘদিন কাজ করার প্রেক্ষিতে আসামী বাদীর বিশ্বস্ত হওয়ায় ৯ ডিসেম্বর সকালে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, কালিবাড়ী শাখা, খুলনার অনুকুলে আসামী মঞ্জুর কাদের (৩০) কে এগার লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন এবং আসামীকে ওই এগার লাখ টাকা উত্তোলন করে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বলেন। আসামী মঞ্জুর কাদের (৩০) সে মোতাবেক খুলনা থানাধীন পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, কালিবাড়ী শাখা, খুলনা থেকে এগার লাখ টাকা উত্তোলন করেন। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও আসামী বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ফিরে না আসায় বাদী শিকদার নাজমুল হাসান (৩৩) পূবালী ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, টাকা উত্তোলন করে এবং বাদীর প্রতিষ্ঠান ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকে এক লাখ টাকা জমা রাখেন। পরবর্তীতে বাদী আসামীর ব্যবহৃত মোবাঃ ০১৩০২-৬৯৯৪৪৪ তে ফোন করলে নম্বরটি বন্ধ পান। বিষয়টি বাদী শিকদার নাজমুল হাসান (৩৩) তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মচারীসহ আত্মীয় স্বজনদের অবহিত করেন ও আসামীকে মঞ্জুর কাদের(৩০) সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেন। কিন্তু আসামীকে কোথাও খুঁজে পাননি।
পরবর্তীতে বাদী শিকদার নাজমুল হাসান উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে তার নিকট আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় এসে আসামী মঞ্জুর কাদেরের বিরুদ্ধে খুলনা থানায়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) বিএম মনিরুজ্জামান এজাহার নামীয় আসামী মঞ্জুর কাদের (৩০) কে খুলনা থানাধীন নিরালা ৮ নং রোডস্থ বাড়ী নং-১১০, খাজা ম্যানসন নামক বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে গ্রেপ্তার করেন এবং আসামীর হেফাজতে থাকা আত্মসাৎকৃত পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করেন।