নড়াইল জেলাব্যাপী লকডাউনের ১ম দিনে চলছে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী।
মোঃ এনামুল হক নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইল জেলার নড়াইল সদর থানা,লোহাগড়া থানা,কালিয়া থান,নড়াগাতী থানা এই কয়টি থানার বিভিন্ন জায়গাতে চলছে কঠোর নজরদারী।
সরকারের নিয়মানুযায়ী সাটডাউন করোনারভাইরাসের জন্য প্রতিটি বাজারে কিংবা শহরের মানুষ আতঙ্কের ভিতর রয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাচাঁবাজারের দোকান ছাড়া আর কোন দোকান খোলা নেই।
বিনাকারনে ঘর থেকে বের হচ্ছে না কারন করোনারভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা থেকে শুরু হয়েছে তাড়াশী সর্বাত্বক লকডাউন।সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী এই লকডাউন চলবে ৭ ই জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে সারাদিন বৃষ্টির কারনে সকাল থেকে মূলত যানচলাচল ছিল সীমিত।রাস্তায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, Rab,,আনসার এবং সেনাবাহিনী মোতায়ন থাকতে দেখা গেছে।বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ যানবাহন থামিয়ে তাদের পরিচয় পত্র যাচাই করতে দেখা যায়।
বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে দু একটা ভ্যানগাড়ী দেখা যায় আর বিশেষ জরুরি কাজে ঘর থেকে বের হতে দেখা মেলে।
আজ বৃষ্টির কারনে নড়াইলের বিভিন্ন জায়গাতে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। অনেক নিচু অন্চলে বাড়ি যাদের তাদেরকে চরমদশা পোহাতে হচ্ছে।
নড়াইল সদরে( শহরে)কিছু যানবাহন চলতে দেখা যায় এবং লোহাগড়া উপজেলায় কিছু লোক দেখা যায়।তবে তাদেরকে টহল প্রশাসন তাদেরকে পরিচয় দেখে বা তাদের সঠিক গতিবিধি লক্ষ করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
উপজেলার বাজারগুলোতে প্রথমদিকে কিছু লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও পরবর্তীতে টহল পুলিশের অভিযানে লোকজন কমে যেতে দেখা যায়।
লকডাউন বাস্তবায়নের চেষ্টায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে নড়াইল জেলাব্যাপী পুলিশ।ঔষুধের দোকান, কাচাঁবাজার নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ ছিলো।
আইন অমান্য করলে সাথে সাথে তাদেরকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে সড়কে কোন ভাবেই যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।
নড়াইলের প্রতিটি থানার ইউনিয়ন গুলোতে নজরদারী চলছে প্রশাসনের নজরদারী।৭দিনের সাটডাউনের বিধিনিষেধ কেউ অমান্য করলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে প্রশাসন।