স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলে ডিসি অফিসের কয়েক জন কর্মচারীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৪ কর্মচারিকে ওএসডি করা হয়েছে। আগামি ১৪ ডিসেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর বিভাগীয় কমিশনারের সাথে কথা বলে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান।
রোববার নড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড-এর সাথে এক যৌথ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। ওএসডিকৃত কর্মচারিরা হলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির এনামুল ইসলাম, সহকারী নাজির বাবর আলী, সার্কিট হাউসে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি মোঃ মনিরুজ্জমান এবং ওমর ফারুক।
এ ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত বিভিন্ন আল্টিমেটাম স্থগিত করেন। এর মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, বিগত কমিটির জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম কবির, জেলা ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডঃ এস.এ মতিন, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডঃ শরীফ হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাই বিশ্বাস, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এনামুল কবির টুকু, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের প্রকৌশলী খসরুল আলম পলাশ প্রমুখ।
জানা গেছে, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নড়াইল মুক্ত দিবসে আলোচনা সভার শেষ পর্যায়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিসি অফিসের কর্মচারি বাবর আলী, এনামুলের নেতৃত্বে ১০-১২জন জেলা ডেপুটি কমান্ডার এসএ মতিন ও মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলুকে চেয়ার দিয়ে মারতে যায় এবং গালাগাল করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে নড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক প্রতিবাদ সভা শেষে নড়াইল-যশোর সড়ক ১৬ মিনিটের জন্য অবরোধ করা হয়। এ সময় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ঘটনার সাথে জড়িত কর্মচারীদের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা না হলে জেলা প্রশাসন আহূত বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্জন করে পৃথকভাবে বিজয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে এ ঘটনার দৃশ্য এস.এ টিভির জেলা প্রতিনিধি ধারণ করার সময় তাকে লাঞ্চিত এবং তার মোবাইল ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন ডুকুমেন্ট মুছে ফেলার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় নড়াইল প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে ক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকুর সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় দোষি কর্মচারিদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।