বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন

নড়াইলে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ উৎসব।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১২৪ বার পঠিত
নড়াইলে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ উৎসব।
মোঃ মামুন স্টাফ রিপোর্টার
শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। একটি জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হয়। নতুন বই শিক্ষার্থীদের জন্য এক অভিনব উপহার। বই হলো জ্ঞান অর্জনের প্রধান  মাধ্যম, বই হচ্ছে আলোর উৎস নতুন বছরের শুরুতে বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের নতুন সূর্য দেখেছে।
কোমলমতী শিশু, কিশোররা অন্তহীন আনন্দের মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জনের এমন উৎসব আগামী দিনের স্বপ্ন দেখতে প্রস্তুত হচ্ছে।
বছরের প্রথম দিনে শিশুদের মাঝে বই বিতরণের ফলে সবার মাঝে একটি আনন্দ  বিরাজ করে শিশুরা সারাবছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে বই বিতরনের প্রধানতম সফল একটি দিক হলো শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করা নতুন শ্রেণি, নতুন বই এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রেরণা জোগায় এবং উৎসাহ সৃষ্টি করে।
আজ শনিবার ১ (জানুয়ারি) নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বছরের নতুন বই বিতরণ করেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক, নড়াইল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিতছিলেন ।
সারা দেশের “কোমলমতি শিক্ষার্থীরা”- ২০২২ সালের বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে নতুন বইয়ের মৌ মৌ গন্ধে শিশুরা আনন্দিত।
জ্ঞান অন্বেষনে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। সারা বিশ্বের বরেণ্য মনীষীর জীবন ইতিহাস ঘাঁটলে অনেক কথার সত্যতা চোখে পড়বে। বইয়ের পাতায় পাতায় ডুবে আছে  ইবনে সিনা, আল রাযী, ইবনে রুশদ, যুবরাজ ফাতিক সহ বাংলাদেশের কবি আল মাহমুদ এবং ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মতো বহুসংখ্যক জ্ঞান পিপাসুরাই ‘বই পাঠে’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
সবার জ্ঞাতার্থের আলোকে মহৎ জীবনের আলোকে আজও তেমনি ভাবেই বই পড়ুয়া অসংখ্য ব্যক্তির সৃৃষ্টি হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান  বলেন, নতুন প্রজন্মকেই আগামী দিনের “উন্নত বাংলাদেশ” গড়ায় বড় ভূমিকা পালন করবে এই ‘বই’। আধুনিক এবং উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত একটি জাতি গঠনে এই সরকার “বই বিতরণের উদ্যোগ” বাস্তবায়ন করেছে। এক সময় “পুস্তক অথবা শিক্ষা” সরঞ্জামের অভাবে কোমলমতী শিশুরা স্কুলে যেত না প্রতি বছরেই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ত। এখন সেই ঝরে পড়ার হার নেই বললেই চলে ।
দেশের আনাচে কানাচে তৃণমূলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সেভাবে মানসম্মত শিক্ষার আন্দোলন পৌঁছাতে হবে দেশের প্রতিটি প্রান্তরে, ঘরে ঘরে।
বিশ্বায়নের যুগে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে যে চ্যালেঞ্জ সরকার নিয়েছে, সেটিকে আরো বেগবান করা সময়ের দাবি। পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষাকে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে কোমলমতি শিশুদের মনে দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বীজটি বপন করতে পারলে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সুতরাং ভালো বই পড়েই জ্ঞান অর্জন করে যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়েই সমাজ বা রাষ্ট্রের অনেক পরিবর্তনের চিন্তা করা বাঞ্ছনীয়।
অতএব দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..