বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

নড়াইলে আড়াই বছরেও ক্ষতিপুরন না পাওয়ায় ১২৭ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মানববন্ধন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৫৮ বার পঠিত
নড়াইলে আড়াই বছরেও ক্ষতিপুরন না পাওয়ায় ১২৭ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের তুলারামপুর বাজারের ১২৭টি ক্ষুদ্র ব্যবসা কেন্দ্রের ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিপুরনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
আজ বেলা সাড়ে ১০টায় তুলারামপুর বাজার বণিক সমিতির আয়োজনে নড়াইল-যশোর সড়কের তুলারামপুর বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় তুলারামপুরের কাজলা নদীতে ব্রিজ নির্মানের জন্য নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ১২৭ জন ব্যবসায়ির দোকান ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহন করা হয়। কিন্তু গত আড়াই বছরেও ক্ষতিপুরন না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জামদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আাবু সাঈদ মোল্যা, ডাঃ ইন্দ্রজিত, মোঃ নেসফার রহমান, শ্যামলি বিশ্বাস, রাশিদা বেগম, মহিদুল ইসলাম প্রমূখ। বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক আাবু সাঈদ মোল্যা বলেন, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ও সড়ক ও জনপথের কিছু কর্মকর্তার গাফিলতির কারনে তুলারামপুর ব্রীজ এপ্রোচে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের দোকান ঘরের ক্ষতিপুরনের টাকা পেতে বিলম্ব হচ্ছে । ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবযাপন করছে। ক্ষতিগ্রস্থ্ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত ক্ষতিপুরনের টাকা পায় তার ব্যবস্থা করতে প্রধান মন্ত্রীর নিকট আবেদন জানান । তানাহলে সরকারের ভাবমুর্তি বিনষ্ট হবে।
ডাঃ ইন্দ্রজিত বলেন, ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপুরনের টাকা দেওয়ার জন্য নাম তালিকাসহ সকল প্রকার তথ্য, কাগজপত্র, ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট, ভোটার আইডিকার্ড জমা দেয়া স্বত্বেও আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও অদ্যাবধি ক্ষতিপুরনের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। মোঃ নেসফার রহমান বলেন, ক্ষতিপুরন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ব্রীজ করার জন্য আমাদের দোকানঘর অপসারন করে । ব্যবসা ও কর্ম হারিয়ে দুই আড়াই বছর মানবেতর জীবন যাপন করছি।
শ্যামলী বিশ্বাস বলেন, আমার স্বামী ১৪ বছর আগে মারা যান। তখন থেকেই এই দোকানের আয়ে আমাদের সংসার চলে। দোকান ঘর ভাঙ্গা হয়েছে কিন্তু ঘরের টাকা পাইনি। সমাহার এনজিওর ম্যানেজার আব্দুল আলিম আমাদের কাছ থেকে নগদে ও বিকাশে অনেকবার টাকা নিয়েছে দ্রুত টাকা পাইয়ে দেবার কথা বলে। রাশিদা বেগম বলেন, দোকান ঘর হারিয়ে আমরা এখন পরের জমিতে কাজ করে সংসার চালাই।
মহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে ১৫ ফুট গর্তের মধ্যে আরও ৮টি ঘর অনেক ব্যয়বহুল ভাবে তৈরি। আমরা চাই সরকার আমাদের সবার ক্ষতিপুরনের টাকা দিক অথবা পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিক।
উল্লেখ্য এ বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করতে ঢাকার তেজগাওস্থ সড়ক ও জনপদের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জায়েদ আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল (২১ ডিসেম্বর) বিকালে তুলারামপুর বাজারে এসেছিলেন। তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জায়েদ আলম বলেন, আমরা নাম তালিকা সঠিক আছে কিনা এটা যাচাই করে সঠিক পেয়েছি। এখন এটা আমরা মন্ত্রনালয়ে পাঠাবো। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
তদন্তকালে এ প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন নড়াইল সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুজ্জামান, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন। সমাহার এনজিওর ম্যানেজার আব্দুল আলিম। এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুজ্জামানকে মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকমাস আগে ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করেছিলেন এবং সংশ্লিষ্টদের সমাধানের তাগিদ দিয়েছিলেন।
গতকালের তদন্ত সম্পর্কে আজ (২২ ডিসেম্বর) জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনে পরে বলতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..