নৌকার যোগ্য মাঝি হিসেবে কাকে পেতে চলেছে দাকোপ-বটিয়াঘাটাবাসী।
বরুণ কান্তি মন্ডল, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কে হচ্ছে দাকোপ-বটিয়াঘাটায় নৌকার মাঝি? তাহলে কি যোগ্য নৌকার যোগ্য মাঝি পেতে যাচ্ছে দাকোপ-বটিয়াঘাটা! খুলনার দাকোপ বটিয়াঘাটায় আওয়ামী জনপ্রতিনিধিদের তালিকায় এবার নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. প্রশান্ত কুমার রায়৷ তাহলে কি এবারের নির্বাচনে বাজিমাত করবেন ড. রায়? তাহলে তিনিই কি হচ্ছেন আগামী জাতীয় নির্বচেন দাকোপের নৌকার মাঝি?
ড. রায় পেশায় একজন বাংলাদেশী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ৷ দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে সরকার ও রাজনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিএইচডি গবেষণায় ছিল ” দুর্নীতি দুঃশাসনে বড় বাধা; ভূমি প্রশাসনের উপর একটি সমীক্ষা,”। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থীর তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি৷ বটিয়াঘাটার রাজনৈতিক ইতিহাসে এবারই প্রথম একজন সাবেক সচিব ও ডক্টরেটধারী যিনি এ আসনে লড়বেন ৷
আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নিজের প্রার্থীতার বিষয়ে নিশ্চি করে সময়ের কাগজ কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন- আজন্ম দাকোপের বটিয়াঘাটার মাটি ও মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক গভীর৷ আমার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা এখানেই৷ এ মাটি ও মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা অনেক৷ সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জনপদের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য লড়বো আমি৷ মানবতার জননী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা বাস্তবায়নে এ দায়িত্ব নিচ্ছি আমি৷ ড. রায় আরও বলেন- আধুনিক দাকোপ-বটিয়াঘাটা গড়তে আমাদের শক্তিশালী নেতৃত্বের প্র্য়োজন৷ এ জনপদের মানুষের অধিকার নিয়ে মহান সংসদে কথা বলবে এমন কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন৷ ব্যক্তিস্বার্থ ও আহমিকা ছাপিয়ে সমাজের প্রতিটি কোনায় বঙ্গবন্ধুর চর্চাকে অবারিত করার সুযোগ প্রয়োজন৷ আমরা সে কাজটি ই করবো৷ তাই আমি আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করব৷ দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগের কাছে তিনি মননয়োনের আবেদন করেছেন৷ এ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিপরীতে লড়াই করবেন৷
বাংলাদেশ সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালেই তাকে দাকোপ-বটিয়াঘাটা আসনে নৌকার মাঝি করার সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমাম৷ তবে সে সময় সরকারি দায়িত্বপালনকালে
রাজনীতিতে না আসলেও পরবর্তীতে দেশের প্রতি প্রগাড় দায়িত্ববোধ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সারথি হচ্ছেন তিনি৷
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন কালেই দেশের প্রতিটি জেলা শহর এবং থানা পর্যায়ে স্থাপন করেছেন অজস্র লাইব্রেরী৷ বঙ্গবন্ধুকে অধ্যায়নের এই বিস্তৃত উদ্যেগে তিনি সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে দেশের বাহিরেও ৮০ টির বেশি রাষ্ট্রে সংগঠনটির কার্যক্রমের নিবিড় তত্বাবধান করছেন এই দিকপাল৷ দেশের প্রথম ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পে একযোগে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেবা তার হাতেই শুরু হয়৷
এদিকে দাকোপ-বটিয়াঘাটায় দীর্ঘদিন ধরে জনসংযোগ চালাচ্ছেন ডা. রায়৷ গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার ও এলাকাবাসীর খোঁজখবর নেওয়া থেকে শুরু করে অসহায়দের পাশে দাড়াচ্ছেন সাবেক এই সচিব৷ একইসাথে গ্রাম পর্যায়েও মুজিব কর্নার স্থাপনসহ প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য একাধিক দোয়া মাহফিল পরিচালনা করছেন তিনি৷
তৃণমূলের রাজনীতি থেকে উঠে আসা এ আসনের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের পর এবারই প্রথম যোগ্য নেতৃত্ব পাচ্ছেন দাকোপ-বটিয়াঘাটা অঞ্চলের জনগণ৷ বিভিন্ন সংস্থা ও পত্রপত্রিকার সুত্রে জানা গেছে- পঞ্চানন বাবুর বয়সবৃদ্ধি, অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থী ও জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছে ড. প্রশান্ত কুমার রায়৷ এ দৌড়ে জিতে শেষ অবধি কে নৌকার হাল ধরে এটাই দেখার বিষয়৷