বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় স্বপ্না বেগম কে আঘাতের কারণে জমজ সন্তান মৃত।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১
  • ২১৯ বার পঠিত

 

সুভাষ বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে প্রতিপক্ষের আঘাতের শিকার হয়ে স্বপ্না বেগম(২৮) নামের এক সন্তান সম্ভবা গৃহবধূ মৃত জমজ সন্তান প্রসব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন গর্ভবতী ওই নারীর পেটে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মারে।

পরে আহত অবস্থায় স্বপ্নাকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মৃত জমজ সন্তান প্রসব করে।

এ ঘটনায় শুক্রবার গৃহবধু স্বপ্না বেগমের বাবা তৈয়ব আলী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় চারজনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

আসামীরা হলেন উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলটারী গ্রামের শাহ আলম (৩০), সাগর মিয়া(১৮), বাবু মিয়া (৩৩) ও তোফা মিয়া(৬০)।

গৃহবধু স্বপ্না বেগমের বাবা তৈয়ব আলী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি নার্ননু বাজার গ্রামের আল-আমিনের সঙ্গে ১০ বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়।
তারা সুখে শান্তিতে সংসার করছে। গ্রামের প্রতিবেশী উল্লেখিত আসামীদের সঙ্গে জমির ক্ষেতের ধান গরু খাওয়াকে কেন্দ্র করে তার জামাতার বিরোধ সৃস্টি হয়। এরই জের ধরে গত ২ জুলাই প্রতিপক্ষরা আমার মেয়েকে মারপিট ও মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মারে।

এলাকাবাসী আমার মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যাক্তিগন থানায় মামলা করতে বাধা দিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়।
এমন কি হাসপাতাল থেকে আমার মেয়ের ভর্তি ও চিকিৎসার খাতা থেকে নাম কেটে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এ অবস্থায় আমার মেয়ে চরম অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রভাবশালীদের বাধার মুখে হাসপাতালে নিতে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।

ফলে শুক্রবার ভোরে স্বামীর বাড়িতে আমার মেয়ে মৃত জমজ সন্তান প্রসব করে। মেয়ের শারিরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে বাধ্য হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

স্বপ্না বেগমের স্বামী আল আমিন মিয়া বলেন, গত ২ জুলাই পাগলাটারী গ্রামের তোফামিয়ার ধানক্ষেতে কেবা কাহার গরু ধানক্ষেত খেয়ে ফেলে। তোফামিয়া জমিরপাশের জমিতে আমার গরু বাঁধা ছিল।
তোফামিয়াসহ তাঁর ছেলেরা এসে আমার গরুকে নিয়ে যেতে চাইলে আমার অসুস্থ স্ত্রী গরু নিয়ে যেতে বাঁধা দেয়। এসময় আমার স্ত্রীর সাথে কথা কাঁটাকাটির একপর্যায়ে তারা আমার স্ত্রীর পেটে লাঠি দিয়ে এবং পা দিয়ে আঘাত করে। পরে এলাকাবাসী আমার স্ত্রীকে ওইদিনই কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসাধীন ধাকার পর ৫ জুলাই এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিগন আমাকে থানায় অভিযোগ দিতে না দিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করে জোর করে হাসপাতাল থেকে আমার স্ত্রীর নাম কেঁটে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এ অবস্থায় দুইদিন পর গতকাল নিজ বাড়িতে আমার জমজ দুই মৃত সন্তান প্রসব করলে পুনরায় আমার স্ত্রীকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।

এ বিষয়ে তোফা মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার জমিতে লাগানো ধানক্ষেত খাওয়ার সময় আমিসহ আমার ছেলেরা আল আমিনের গরু ধরে নিয়ে আসার সময় তাঁর স্ত্রী স্বপ্না দৌড় এস গরু নিতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাঁটাকাটি হয়।
অসুস্থ অবস্থায় দৌড় দিয়ে আসার কারনে তাঁর বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাহলে বিষয়টি মিমাংশা করলেন কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এলাকার মহৎ প্রধানগন আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করে দিয়েছিল।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..