নীলফামারীতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সরকার সালাহউদ্দীন সুমন রংপুর বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে ওই কোচিং সেন্টারে পড়াশুনা করে আসছে টেংগনমারী খামাতপাড়া এলাকার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। হেলাল হোসেন একই উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই বসুনিয়া পাড়ার মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, পড়াশুনার ফাঁকেই ঐ কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেন ছাত্রীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ৩১ জুলাই ধর্ষণের এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। দুপুরে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ইউএনও’র কার্যালয়ে নিয়ে যান তার বাবা। মেয়েটির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেংগনমারী বাজারের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় মাতব্বররা। উপজেলার প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাড়ে চার লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। ২ লাখ মাতব্বরদের পকেটে।
টেংগনমারী আপডেট কোচিং সেন্টারে গেলে এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জলঢাকা থানার ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, আপনি তো ঘটনা জানেন, কি ঘটেছিলো। আপনি এলাকায় যান, এলাকায় গিয়ে তথ্য কালেকশন করেন।
ইউএনও ময়নুল ইসলাম বলেন, আমার এখানে এসেছিলো। সবকিছু আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।