নীলফামারীতে শালিকাকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে দুলাভাই শহিদ সহ গ্রেপ্তার ২
নীলফামারী সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শালিকাকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় দুলাভাই শহিদ শাহসহ (৪০) অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩।
গত শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে নীলফামারী ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর গ্রামের হেলাল মিয়া (৫৮) ও আব্দুল করিম শাহ (৪৭)। আজ রবিবার দুপুরে সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুসা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ইতি আক্তারকে (১৯) ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় অপহরণ করেন একই উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর গ্রামের দুলাভাই শহিদ শাহ। সে সময় পুলিশ শহিদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এর ছয় মাস পর জামিনে মুক্ত হয়ে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় অপরহরণ করেন। দ্বিতীয় দফায় অপহরণের তিন মাস পর ইতিকে হত্যা করে গোপনে লাশ দাফনের জন্য চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি পানিয়ালপুকুর গ্রামে লাশ নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের অভিযানের সময় দুলাভাই শহিদ ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। শহিদ পানিয়াল পুকুর গ্রামের জাকারিয়া শাহের ছেলে। শ্যালিকাকে অপহরণের পর জয়পুরহাট জেলায় একটি ওষুধ কম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, সিরাজুল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের সঙ্গে শহিদের বিয়ে হয়। সৌধ নামে সাত বছরের এক ছেলে আছে তাদের। পারিবারিক কলহের কারণে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলে একমাত্র শ্যালিকা ইতিকে দুই দফায় অপহরণ করেন শহিদ। এ ঘটনায় ইতির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাব-১৩-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শহিদ শাহ ঘটনা স্বীকার করেছেন। ইতিকে নির্যাতনের একপর্যায়ে তার পেটে লাথি মারেন শহিদ। এতে অসুস্থ হলে ইতিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যান। এরই মধ্যে ইতির মৃত্যু হলে গোপনে লাশ দাফনের জন্য নিতাই গ্রামের বাড়িতে নেন। গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।