অপু আহমেদ রওশন স্টাফ রিপোর্টার হবিগঞ্জ ঃঃ
বাহুবলের করাঙ্গী নদীর ব্রীজ ও রাস্তা মেরামত কাজে অনিয়মের সংবাদ
সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে হেনেস্হা করে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদার। পরে
সাংবাদিককে আটক করে থানায় সুপর্দ করে মামলা সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে
মামলা দায়ের। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে করাঙ্গী ব্রীজের পাশে। সচেতন মহল
বলছে এ যেন চোরে চোরে মাসততো ভাই।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ঐতিহ্যবাহী বাহুবল
বাজারের প্রধান সড়ক ও করাঙ্গী নদীর ব্রীজ। রাস্তা, ব্রীজ মেরামত ও সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসী
মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি করাঙ্গী নদীর
ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ ও রাস্তা মেরামতের জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। গত কয়েকদিন ধরে
মেরামত কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রায় সময়ই রাতের আধাঁরে কাজ করার ফলে
জনসাধারণের চোঁেখ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এনিয়ে বৃহস্পতিবার ২৪ জুন দুপুরে
ব্রীজের উপর পাকাকরণের কাজ চলা অবস্থায় সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে যান স্থানীয় সাংবাদিক
আজিজুল হক সানু। এ সময় তিনি নির্মাণ কাজে নি¤œমানের বালু, বিটুমিনসহ অন্যান্য
সামগ্রীর ছবি তুলেন। এতে কেঁপে উঠেন উপজেলা প্রকৌশলী ও তার অফিসের লোকজন। এক
পর্যায়ে সাংবাদিক সানুর সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় তারা। এ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলীর
নির্দেশে অফিসের লোকজন আটক করে বাহুবল মডেল থানায় নিয়ে যায়। আজিজুল হক সানু
থানাতে আটক থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা ও উল্টো উপ-সহাকরী
প্রকৌশলীকে মারধোরের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সরকারী কাজে বাধা ও
মারধোরের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে করাগারে
পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আফছার হোসেন খন্দকার বলেন, ওই ব্যক্তি আমাদের নির্মাণ
কাজ চলাকালীন সময়ে বাধা প্রদান করেন এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলফাজ উদ্দিন এবং
ফিল্ড সুপার ভাইজার ইখতিয়ার উদ্দিনকে মারধোর করেন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাকে অবগত করে মামলা দায়ের করা হয়ে।
এদিকে এমন ঘটনায় বাহুবলসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের
সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে সাংবাদিক আজিজুল হক সানুর নিঃশর্ত
মুক্তি দাবী করছেন। একই উপজেলা প্রকৌশলীসহ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাছির বলেন, স্থানীয় একজন সাংবাদিকের
সাথে কথাকাটির বিষয়টি আমি শোনেছি। তবে মামলা দায়ের বা অন্যান্য বিষয়ে আমি অবগত
নই।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..