মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ -৪আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১
  • ১৭০ বার পঠিত

 

বিশেষপ্রতিনিধিমোঃজিয়াউলহোসেন (জুয়েল)।  নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আজকে ডিএনডির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। যখন ডিএনডি তৈরি করা হয়েছিল তখন ছিল বেহেশতের টুকরো, এখন তা অভিশাপ। ফতুল্লার লালপুর যা অভিশপ্ত এলাকা হয়ে গেছে। জায়গাটা হল নিচু এবং পানি বের হওয়ার যে রাস্তাগুলো আছে সেগুলো উচু। নিচু জায়গা থেকে তো পানি আর উচু জায়গায় যেতে পারবে না। লিংক রোডের কাজের জন্য প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তায় আমরা বালু ভরাট করছি। ওই ৮ কিলোমিটার রাস্তায় ডিএনডির যে খালগুলো তাদের কোন সংযোগ আছে কী না আমরা তা জানি না। কুতুবপুরে ওয়াসার পাশে আমাদের একটা রাস্তা আছে। আগে সেই এলাকায় প্রতি বর্ষায় ওয়াসা ১০টি করে অস্থায়ী পাম্প বসাতো। এখন ঢাকা সিটি করপোরেশন ওয়াসার দায়িত্ব নিয়েছে। ফলে সেই পাম্পটা এখন চলছে না। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আশাকরি তারা সেই পাম্পগুলো চালু করে দেবেন।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি মনে করি এই জলাবব্ধতার সমস্যা আমার ব্যর্থতা। এ জন্যে আমার এলাকার ভুক্তভোগী যারা আছেন তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা চাওয়াতে আমার কোনো লজ্জা নাই কারণ আমি সমস্যাটা সমাধান করতে পারি নাই। কিন্তু এটা সত্য যে এ সমস্যা সমাধানে আমাদের কোনো অতিরিক্ত মেশিনারিজ এবং অতিরিক্ত বাজেট নাই। যেটুকু আনা সম্ভব ছিলো তার থেকে বেশি আমি নিয়ে এসেছি। এখন যতটুকু করা দরকার তাও আমরা করবো।

তবে শামীম ওসমান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নারায়ণগঞ্জের সবগুলো সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ের দরকার। বিচ্ছিন্নভাবে সমস্যার আংশিক সমাধান হবে, পুরোপুরি সমাধান হবে না। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আগামী রবিবার সরেজমিনে দেখতে আসবেন। তিনি আসার আগে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বুধবার ডিএনডি ও এর বাইরে যেসব এলাকায় জলবদ্ধতা হচ্ছে সে বিষয়ে সমাধান কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা বসবো। আমাদের পরবর্তী সভায় এই জলাবদ্ধতা নিরসনে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাতে করে আগামী শীত মৌসুম পরে এরকম পরিস্থিতি নিয়ে আর কোনো সভা করতে হবে না। আমি আশা করি এই রবিবারে একটি সিদ্ধান্ত দিতে পারবো। তিনি সভায় সাংবাদিকদেরও থাকতে বললেন। তাদের সহযোগিতাও চেয়েছেন।

শামীম ওসমান আক্ষেপ করে বলেন, দুই বছর আগে জালকুড়িতে সিটি করপোরেশনকে ডাম্পিং করার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যেন সেখানে ময়লা ফেলে তা দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদন করা যায়। জালকুড়ির মানুষের চরম আপত্তির পরেও জেলা প্রশাসন ওই জায়গা বরাদ্দ দেন। আজ পর্যন্ত সেই কাজের কোন অগ্রগতি নেই। ময়লাটা ফালানো হচ্ছে লিংক রোডের পাশে।
 সভা চলাকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ডা বললেন
সভায় এক পর্যায়ে পানির সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন শামীম ওসমান। শামীম ওসমান মুঠোফোনে পানি সম্পদ মন্ত্রীকে  বলেন, দ্রুত ডিএনডির জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানের জন্য ডিএনডি এলাকায় এসে পরিদর্শন করে যান। তাৎক্ষণিক মন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে আগামী রবিবার সরেজমিন ডিএনডি এলাকাটি পরিদর্শনে আসবেন বলে  উপস্থিত সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন।

এসময় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, শামীম ওসমান আন্তরিক ডিএনডির জন্য। আমি আগামী রবিবার আপনাদের সমস্যা সরেজমিন পরিদর্শন করব। ইতিমধ্যে আপনাদের সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যে বরাদ্দ আনতে আপনাদের এমপি রাতদিন কাজ করেছেন। কাজ চলছে। আপনারা জানেন ডিএনডি মূলত ইরি চাষের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মানুষ এখানে বসতি গড়ে তোলে।  কত খাল ছিল এগুলো দখল হয়ে আছে। এছাড়া আরো সমস্যা আছে। সকলের সাথে সমন্বয় করে সরেজমিন দেখে ডিএনডি সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করব। বক্তব্য শেষ করার আগে শামীম ওসমান ডিএনডির ভেতরে কিন্তু প্রজেক্টের বাইরে জলাবদ্ধতা এলাকার জন্য আরো বরাদ্দ দাবি করেন। মন্ত্রী সেই সময় পুনরায় আশ্বাস দেন এমপিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..