এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পরপরই অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন এবং ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য আবেদন করেছিলেন।তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মোট পাঁচটি স্পটে অভিযান চালিয়ে একাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও প্রায় দুই শতাধিক আবাসিক বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার মুড়াপাড়া, মাসুমাবাদ ও হাটাবো এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান।
অভিযানকালে আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড সুইটসকে (মুড়াপাড়া) অবৈধ সংযোগ নেওয়ার দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সোনার বাংলা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে (মাসুমাবাদ, আতলাসপুর) ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২০ ফুট হোস পাইপ, ১টি রেগুলেটরসহ রাইজার অপসারণ করা হয়। নামবিহীন বিরিয়ানি ও চায়ের দোকান (মুড়াপাড়া) থেকে অবৈধভাবে গ্যাস সরবরাহে ব্যবহৃত ৩/৪” ডায়ার ২ ফুট পাইপ ও ৩০ ফুট হোস পাইপ অপসারণ করা হয়।
এছাড়া রূপগঞ্জের টেকপাড়া আতলাসপুর এলাকায় প্রায় ৭০টি বাড়ির ৮০টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। উচ্ছেদকৃত পাইপের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১০ ফুট।
অন্যদিকে, হাটাব আতলাসপুর এলাকায় প্রায় ১২০টি বাড়ির ১৩০টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং প্রায় ৫০ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান বলেন, “অবৈধ গ্যাস সংযোগে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। এ ধরনের সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”